![](https://blogger.googleusercontent.com/img/a/AVvXsEjs354OQjthWRzN_WaZ5tMtoG1VOXtSaVx3FMZc6X7jfMC5fDYTiM_Aew1ayfEo1fpFCgINhS2yhSySPwhlCwgN6OUhr3vmGzCj5nRa6rx0UtYkCcpT9CjtznL3NA7JbD0xgYKQlaBcuLoNGnxSVBaX6Rrp2xic4KOt7MnsQpzuyuAbm49-a9mJFc9NoQ=w400-h225)
চাঁদাবাজি ও মারামারি মামলার অভিযোগে আরএফ বিল্ডার্সের এমডি হাজী দেলোয়ারসহ চারজনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। সোমবার (৮ নভেম্বর) রাতে কলাতলী ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন, চট্টগ্রাম সাতকানিয়া উপজেলার পশ্চিম গাটিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত এয়াজর রহমানের ছেলে আরএফ বিল্ডার্সের এমডি হাজী দেলোয়ার হোসেন (৬৪), হাজী দেলোয়ারের ছেলে মো. ওমর ফারুক (৩৬), ইমরান ফয়সাল (৩০) ও কক্সবাজার শহরের ৩নং ওয়ার্ড নতুন বাহারছড়া এলাকার মৃত আবু ছৈয়দের ছেলে শেখ আবদুল্লাহ (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে।
জানা যায়, কক্সবাজার পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড মধ্যম বাহারছড়া এলাকার বাসিন্দা মৃত ছৈয়দ আহমদের ছেলে এডভোকেট নুরুল আলম বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একজন অজ্ঞাতসহ মোট ১২ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টায় কক্সবাজার সদর থানার ওসি তদন্ত বিপুল চন্দ্র দেন বলেন, মারামারি ও চাঁদাবাজি মামলায় হাজী দেলোয়ারসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, কলাতলী মোড়ে ১৩ তলা বিশিষ্ট ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্ট নামীয় ভবনটি আমি ও আমার অন্যান্য ওয়ারিশদের মালিকানাধীন জমিতে স্থিত। উক্ত জায়গায় বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার নিমিত্তে ডেভেলোপার হিসেবে ১নং আসামী হাজী দেলোয়ার হোসেনের সাথে আমি ও ওয়ারিশগণের সাথে ৪ মে ২০০৮ সালে রেজি:কৃত চুক্তিপত্র হয়। হাজী দেলোয়ার অপরাপর সহযোগী আসামিদের প্রত্যক্ষ সহায়তায় আমাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অংশানুপাতিকহারে ফ্ল্যাট ও পার্কিং বুঝিয়ে দেয়নি। বরং তার কোন মালিকানা না থাকলেও সেখানে একটি সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। এমনকি হাজী দেলোয়ার আমাদের ফ্ল্যাট ও পার্কিং বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০ লাখ টাকা অবৈধভাবে চাঁদা করে আসছে।
এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে, এর অংশ হিসেবে গত সোমবার (৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আমার ছেলে (বাদির) ও ভাইকে ওয়ার্ল্ড বিচ রিসোর্টে ডেকে নিয়ে যায়। এবং সেখানে ১১ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিতে অস্ত্রের মূখে জিম্মি করে। এক পর্যায়ে তাদের দাবি পূরণ করা হয়েছে মর্মে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পও আদায় করা হয়। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজার সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ