বার্তা পরিবেশকঃ
কক্সবাজার জেলার আওতাধীন রামু উপজেলা খুনিয়া পালং এর বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদের আপন ছোট ভাই আব্দুস সালাম বাদলের বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ কক্সবাজার পারিবারিক আদালতে বাদলের সাবেক স্ত্রী( সুইটি ছন্দ নাম) একজন ভুক্তভোগী নারী মামলা দায়ের করার খবর পাওয়া গেছে । বাদীনির বাড়ি কক্সবাজার বাহারছড়া। যার মামলা নং-১১৯/২১।
মামলার বাদীনি দাবি করেন, মাবুদের ছোট ভাই একজন নারী নির্যাতনকারী, নারী কালেংকারি,যৌতুকলোভী, চরিত্রহীন,ইয়াবাসক্ত,পরধনলোভী, আইন অমান্যকারী ও চলনাবাজ।
তার এমন অমানবিক অাচরণ ও নির্যাতনের কারণে সংসার ভাংতে হলো নিরীহ এই নারীকে। বাদলের পরিবারের একঘেয়েমি আচরণ, স্ত্রীর উপর বদমেজাজ, মারধরসহ চরম অমানবিকতায় বিষয়টি আজ অবশেষে আদালত পর্যন্ত ঘড়িয়েছে। মাবুদ চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই বাদলের এমন খবরে এলাকায় নানা সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানাগেছে, কক্সবাজার বাহারছড়া বাসিন্দা এক নারী (সুইটি ছন্দ নাম) বিগত ১৯ সালের দিকে মাবুদ চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই আব্দুস সালাম বাদলের সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক (১০) দশ লক্ষ টাকা কাবিননামা মুলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।
ওই সময় বাদিনীর পিত্রালয় থেকে বিবাহের ফানিচারসহ বিভিন্ন খরচ বাবত ৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা প্রদান করেন।
এদিকে বাদিনীর বাবা মেয়ের সুখের আশায় বিশাল অংকের টাকা খরচ করে অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ছে।
মামলায় আরো উল্লেখ করেন, বাদিনী ও বাদিনী পিতা মাথাকে মোবাইল ফোনে, কোন ধরনের মামলা নানা করার হুমকি দেন বাদল। মামলা করলে, বিভিন্ন মিথ্যা মামলাসহ খারপ লোক দিয়ে অপহরণ করে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এঘটনায় নিরীহ এই বাদিনীর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীতায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বিবাহের কিছু দিন যেতে না যেতেই ভালো মানুষের মুখোশে বেরিয়ে আসে মাবুদ চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই আব্দুস সালাম বাদলের নানা কুকীর্তি। বাদিনী সুইটি(ছন্দ নাম) দাবি করেন, বাদল একজন পেশাদার মাদক সেবি, নারী লোভী ও নানা অপর্কমের হুতা। অবেলা নারী নববধূর হাতের মেহেদী রং শুকাতে না শুকাতেই মাদকাসক্ত বাদলের নির্যাতনের স্টিমরোলার চলতো প্রতিদিন নববধূ সুইটির উপর। এই ফাঁকে সুকৌশলে অবুঝ সুইটিকে ফাঁকি দিয়ে তার দশ ভরি স্বর্ণ ও লুটপাট করে বাদলের পরিবার। বাদলের ভাই মাবুদ চেয়ারম্যান হওয়ায় বাদল সে নিজেকে সবসময় নানা অপরাধের ডন মনে করে কাউকে পাত্তা দেয় না। ঘরে নতুন বউ রেখে মেতে থাকে পরনারী ও মাদকের আড্ডায়, বাদল পেশায় একজন বালি ব্যবসায়ী পরিচয় দিলেও মুখোশের আড়ালে চলতো মাদকসহ নানা অপকর্ম।
নববধু সুইটি সুখের আশায় বাদল ও তার পরিবারের নানা নির্যাতন সহ্য করে আপ্রাণ চেষ্টা করেও সংসার করতে ব্যর্থ তিনি।
এই নিয়ে বিষয় টি বাদলের ভাই চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদসহ ও বাদিনী নববধু সুইটির পরিবারের লোকজন সমাধানের জন্য একাধিক বৈঠক বসেও কোন সুরহা করতে পারেনি। বারবার মাদকাসক্ত বাদল সুইটিকে সাব জানিয়ে দেন তোমার সাথে সংসারও করবো না, তোমার মোহর না ও দেবনা, তুমি পারলে আমাকে ঠেকাও। আমার লোমও ছিড়ঁতে পারবে না বলে এমন অশালীন তিরস্কার করতো স্ত্রীকে।
বাদল বলেন, আমি অনেক ক্ষমতাবান, কক্সবাজার বাংবাজার এলাকার সুমি আক্তার নামে একজনকে বিয়ে করে ফেলছি। তবে জানাগেছে এমন অাচরণে তার সাথেও বিবাহ ভেঙে গেছে। সুমিকে মারধর ও কান্নার ভিডিও ক্লিপ, মামলার কপি প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।
চরম অসাহয়, নিরীহ সুইটি কোন উপায় অন্তর না দেখে অবশেষে বহু অপকর্মের হুতা মাবুদ চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই আব্দুস সালাম বাদলের বিরুদ্ধে মামালা দায়ের করেন ন্যায় বিচারের আশায়। এদিকে একজন অবেলা অসহায় নারী এমন মানুষ রূপী বর্বর বাদলের বিচার দাবি করছেন।( বাদিনী সুইটি ছন্দ নাম) অনেক শারীরিক মানসিক নির্যাতনের বোঝা মাথায় নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানাগেছে।
0 মন্তব্যসমূহ