জকি সভাপতি, আলতাফ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত


মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ

টানটান উত্তেজনা আর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে উৎসাহ উদ্দিপনায় সৈয়দপুরে নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক সম্পন্ন হয়েছে গত শনিবার। ওইদিন সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে নীলফামারী জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন কর্তৃক পরিচালিত হলি চাইন্ড স্কুলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়। 

নির্বাচনে মোটর প্রতীকে এক হাজার ১১৮৯ ভোট  পেয়ে দেওয়ান মুজিবুদৌলা জকি সভাপতি পদে এবং ঘড়ি প্রতীকে এক হাজার ১২৮০ ভোট পেয়ে মো. আলতাফ হোসেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সভাপতি পদে নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী চাকা প্রতীকে মো. মমতাজ আলী  এক হাজার ১১৩২ ভোট পান।  সাধারণ সম্পাদক পদে নিকটতম প্রতিদ্বদ্বী মোহাম্মদ আলী মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭৬ ভোট। সংগঠনের অন্যান্য পদে নির্বাচিতরা হচ্ছেন,কার্যকরী সভাপতি মো. জিকরুল হক  সহ-সভাপতি মো. ছাইদুল ইসলাম,যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো.মমিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক  মো. আফজাল হোসেন,কোষাধ্যক্ষ মো. মনছুর আলী, দপ্তর সম্পাদক মো. এফাজ উদ্দিন সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ,সড়ক সম্পাদক (আন্তঃজেলা) সোরাব হোসেন, 

সড়ক সম্পাদক (অভ্যন্তরীণ) মো. স্বপন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল জলিল, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. লেবু মিয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো.  জাহেদুল ইসলাম মানিক এবং ক্রীড়া সম্পাদক  মো. স্বপন। এছাড়া সংগঠনের কার্যকরী সদস্যের তিনটি পদের মধ্যে দুইটি পদে নির্বাচিতরা হলেন, আইনুল হুদা ও মো. আশিকুর রহমান। কার্যকরী সদস্যের একটি পদের বিপরীতে রবিউল ইসলাম ও শ্রী নিমাই চন্দ্র রায় সমসংখ্যক ৬৫৫ করে ভোট পেয়েছেন। ফলে এ পদটি অমীমাংসিত রয়েছে। নির্বাচনে  সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটির ১৮টি পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বিদ্বতা করেন। নিবাচনে দুই হাজার ৯৬৩ জন ভোটারের  মধ্যে দুই হাজার ৪৪০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। 

নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দপুর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মো. আল-মিজানুর রহমান। এছাড়া সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)  মাহমুদুল হাসান নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. রবিউল আলম ও উপজেলা সমবায় অফিসার মো. মশিউর রহমান সদস্য হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।

বিকেল ৪ টার সময় ভোট শেষ হয়ে গণনা শুরু হয়। ফলাফল ঘােষণার আগ পর্যন্ত প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকের মাঝে দেখা দেয় উৎকন্ঠা ও টানটান উত্তেজনা।  কিন্তু পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ