নীলফামারীর ডোমার পৌরসভা নির্বাচনে কে হচ্ছে নগর পিতা


রতন কুমার রায়,স্টাফ রিপোর্টার:
 

আগামী ২রা নভেম্বর নীলফামারীর ডোমার পৌরসভা নির্বাচন ৫ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের র্নিঘুম রাতদিন নিজ নিজ প্রচারনায় জমে উঠেছে ভোটের ইমেজ। রাস্তার ধারে,দোকানে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো পৌরসভা এলাকা। কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট চাওয়া,উঠান বৈঠক,রাস্তা ঘাটে দোয়া আর্শিবাদ প্রার্থীদের বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। চায়ের দোকানে ভোটারদের খোশ গল্পে একটাই কথা এবারে কে হচ্ছে আগামী ৫ম বারের মতো পৌর পিতা।

জন্মলগ্ন থেকে নানান সমস্যায় জর্জাড়িত তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভাটির তেমন উন্নতি না হলেও আসন্ন নির্বাচনে পরিবর্তনের প্রত্যাশা থাকলেও যোগ্য ব্যাক্তি নির্ণয়ে উঠে পড়ে লেগেছে পৌরবাসী। নির্বাচনে মেয়র পদে ৩জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে  বর্তমান মেয়র ও সাবেক উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি গত দুই টার্ম মেয়র পদে নির্বাচিত হয়েছেন। এবারেও তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নারিকেল প্রতীক নিয়ে প্রতিদন্দ্বিতা করছে। এলাকা ভিত্তিক বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে শিল্পপতি ও  দাপুটে সাবেক এই বিএনপি নেতার। অপরদিকে আরেক মেয়র প্রার্থী, তরুণ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী গনেশ কুমার আগরওয়ালা আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠঘাট চষে বেড়াছে নেতা-কর্মীদের নিয়ে। জনবান্ধব এই তরুণ নেতার রয়েছে ব্যক্তি ইমেজ। 

সৎ ও পরিছন্ন রাজনীতিবিদ ব্যক্তি হিসেবে রয়েছে বেশ সুনাম। সুন্দর নগর গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভোট  চাইছেন তিনি। উক্ত দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও এবারেই প্রথম আফরোজা নাজনীন রুমি নামে এক নারী মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে মেয়র পদে প্রতিদন্দ্বিতা করছেন। তিনি ডোমার পৌরসভার প্রথম ও দুইবারের মেয়র প্রয়াত আল আজাহার ইসলামের ছোট বোন। শিক্ষিত ও পরিছন্ন ব্যক্তি হিসেবে তারেও রয়েছে সুপরিচিতি। 

পিতা ও স্বামীর বাড়ী উভয় পৌর এলাকা হওয়ার সুবাদে দুই এলাকায় রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। আওয়ামীলীগ সমর্থক পরিবারের সন্তান হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটারদের কাছ থেকে জানযায়, মেয়র পদে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে। স্বচ্ছ ভাবে ভোট গ্রহন করা হলে ,কে হবে মেয়র তা নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না।

এছাড়াও সংরক্ষিত ৩টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করছে। সাধারন কাউন্সিলর পদে ৯ টি ওয়ার্ডে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্বিতা করছে। সাধারন ভোটারদের মতামত অনুযায়ী কাউন্সিলর হিসেবে অধিকাংশ ওয়ার্ডে নতুন মুখ আসতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা আ: রহিম জানান, ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনা শুরু করে। নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে প্রার্থীরা প্রচারনা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত কোন প্রার্থীর নির্বাচনী আচরনবিধি লংঘনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ