নাশকতা মামলায় জামিন না পেয়ে ডোমারের জামায়াতের ২৮ নেতাকর্মীকে কারাগারে


রতন কুমার রায়, স্টাফ রিপোর্টার:
 

নাশকতার মামলায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলা জামায়াত-শিবিরের ২৮নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  সোমবার সকাল ১১টার দিকে জামায়াত-শিবিরের ৩০নেতাকর্মী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করে। বিজ্ঞ বিচারক দু’জনের জামিন মঞ্জুর করলেও ২৮জনের জামিন আবেদন নামঞ্জর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

মামলা দায়েরর পর থেকেই তারা পলাতক ছিল। বিকেলে ওই ২৮ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অক্ষয় কুমার রায়। আদালত সূত্র জানায়, একাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল এবং সরকারি বিরোধী কর্মকা-সহ সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিসাধনের লক্ষ্যে ২০১৮ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকেলে ডোমার সোনারায় ইউনিয়নের ডুগডুগি বাজার সংলগ্ন হামিদের মোড় নামক স্থানে ডোমার উপজেলা জামায়াত-শিবিরের ৭০/৮০জন নেতাকর্মীরা গোপন বৈঠককে বসে। 

এমন খবর পেয়ে ডোমার থানা পুলিশ ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াত কমী কামরুজ্জান ওরফে কামু (৩৮) ও ইয়াকুব আলীকে (৪৫) আটক করে।  এঘটনায় ওই দিন রাতেই ডোমার থানার উপ-পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখ্যসহ ৭০/৮০ জনকে আসামী করে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধীত/২০১৩) এর ৬(২) এর ঈ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর ৭৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে পুলিশ। নীলফামারী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অক্ষয় কুমার রায় জানান, মামলার ৭৯ জন আসামীর মধ্যে ৩০জন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিলেও ৪৯ পলাতাক থাকেন। তাদের মধ্যে সোমবার ৩০ জন আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত দুই জনের জামিন মঞ্জুর করলেও বাকী ২৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম সরকার ওই আদেশ দেন।

পিপি আরো জানান, ওই ২৮ আসামীকে বিকেল পাঁচটায় নীলফামারী জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার আরো ২১ আসামী এখনও পলাতক রয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ