জলঢাকায় পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে যুবকের অবস্থান


বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর জলঢাকায় ২৯ বছর পর পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে বাবা'র দোকানের সামনে  ছেলের অনশন।মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের মনিহারি পট্টিতে এঘটনাটি ঘটেছে।

অবস্থানরত যুবক জসিয়ার রহমান জানায়, ১৯৯১ সালে আমার জন্ম হয়। জন্মেরপর বাবাকে দেখিনি পরে যখন জানতে পারি, জলঢাকা পৌরসভার উত্তর কাজিরহাট মফিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম  এবং খালিশা চাপানী মেম্বার পাড়া মা' জোসনা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। আমার জন্মের১বছর পর বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়েছে।

যখন থেকে বুজতে ও জানতে শিখেছি, তখন  থেকে আমি আমার বাবা'র সন্ধান করতে শুরু করি। ১০ বছর বয়সে খুজে পাই বাবা'কে। তিনি আমার পরিচয় পেয়ে দুরদুর করে তারিয়ে দেন। ১৬ বছর বয়সে আবারও এসেছিলাম বাবার কাছে।এরপরেও আমার প্রতি মায়া জন্মেনি বাবার। এবার এসেছি ২৯ বছর বয়সে। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছি আমার ২ শিশু সন্তান ও স্ত্রীকে।

আমাদেরকে দেখে বাবা ঝটপট দোকান বন্ধ করে কেটে পরে। তাই আমরা দোকানের সামনে অবস্থান করছি পিতৃ পরিচয়ের দাবিতে। জসিয়ার বলেন আরোও বলেন,“বাবার জমি চাইনা-জায়গা চাইনা,ঘর চাইনা- বাড়ী চাইনা,শুধু পিতৃ পরিচয় চাই!

এবিষয় জসিয়ারের মামা মাওলানা মাহবুবার রহমান বলেন, আমি ও নজরুল ইসলাম আমরা এক সঙ্গে আলিম, ফাজিল এবং কামিল পাশ করেছি। বন্ধুত্বের সুত্র ধরে তার সাথে আমার বোনকে প্রায় ৩২ বছর পূর্বে বিয়ে দিয়েছিলাম।

বেশ কিছুদিন পর তাদের মধ্যেবিবাদ- কলহ সৃষ্টি হলে,বোনের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। সে কারণে ৮ মাসের গর্ভাবস্থায় বোনকে আমাদের বাড়ীতে নিয়ে আসি। বাচ্চা হওয়ার পর প্রায় একবছর পরে তাদের ডিভোর্স হয়।আমরা আমাদের পরিচয়ে ভাগিনাকে মানুষ করেছি ও বিয়েসাদী দিয়েছি।বিয়ের পরে সে শ্বশুরালয়ে থাকে। এদিকে,  বিয়ের কথা স্বীকার করলেও সন্তানের কথা অস্বীকার করেন নজরুল ইসলাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ