স্থগিতাদেশ আসার আগেই দেবীগঞ্জ সোনাহার উচ্চ বিদ্যালয়ে তড়িঘড়ি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু, পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ

চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে জবাব দেওয়ার নোটিশ পেয়েছেন নিয়োগ কমিটি কর্তারা। নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত প্রসঙ্গে আদালতের কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেওয়ার আগেই তড়িঘড়ি নিয়োগ পরীক্ষার সমস্ত কার্যক্রম ও ফলাফল চুড়ান্ত করলেন পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলাধীন সোনাহার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কমিটি।

দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে আদালতের প্রাপ্ত নোটিশের জবাব দিতে যান কমিটির সদস্যগন। এই নিয়োগে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও সোনাহার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুনের বিরুদ্ধে।  সোমবার সকাল ১১ টায় নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের সময় নির্ধারিত থাকলেও আবহাওয়াজনিত কারণে দুপুর ১২ টায় সংশ্লিষ্ট  বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয়।

এর আগে রবিবার ওয়াদুদ বাবু ও প্রসন্ন নামে দুই ব্যক্তি বাদী হয়ে পঞ্চগড় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের আবেদন করে মামলা করেন। আদালত আবেদনের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয় কমিটিকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়ে ২৪ ঘণ্টার সময় বেধে দেন। যদিও বিদ্যালয় কমিটি আদালতে জবাব দাখিল না করেই সোমবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন।ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিল মামুন বলেন, আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিতের কোন আদেশ দেন নি।মামলার নথি থেকে জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য চলতি বছর ১০ জানুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে আগের বিজ্ঞপ্তির পরীক্ষা না নিয়েই বিধি বহির্ভূতভাবে ১৩ জুন পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়।

সোমবার নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের সময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের প্রতিনিধি ও বিপি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোবায়ের ইসলাম, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইব্রাহীম খলিল মামুন ও প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মনোরঞ্জন রায় উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সলিমুল্লাহ বলেন, যেহেতু আদালত থেকে পরীক্ষা নিতে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই তাই পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে।জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহীন আক্তার নিয়োগ কমিটিতে না থাকলেও তিনি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণের সময় উপস্থিত ছিলেন। নিয়োগ কমিটিতে না থেকেও তিনি সার্বক্ষনিক পরীক্ষা কেন্দ্রে  উপস্থিত থেকে দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করায় ভূমিকা রাখেন রাখেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বিকাল ৪ টায় নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মনোরঞ্জন রায়  মুঠোফোনে জানান, পরীক্ষা শেষে দুই পদে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। এখন আদালতে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দাখিলের জন্য তারা আদালতে রয়েছেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ