চির নিদ্রায় শায়িত হলেন রামুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল হক কোম্পানী


সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন রামুর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নুরুল হক কোম্পানী। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রামুর ফুলনীর চর জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সোমবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি মরহুম হাছান আলী মাস্টার আমিনা খাতুনের সেজো ছেলে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মিয়স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

এদিকে ব্যবসায়ী নুরুল হক কোম্পানী’র মৃত্যুর খবর শুনে মঙ্গলবার সকালে জানাজার নামাজে শত শত শোকার্ত মানুষের ঢল নামে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানাজায় উপস্থিত হন মরহুমের মামাতো ভাই কাউয়ার খোপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, ফতেখাঁরকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগন।

জানা যায়, রামু উপজেলার বৌদ্ধমন্দির রোডস্থ চেরাংঘাটা এলাকার বাসিন্দা রামুর স্বনামধন্য ব্যবসায়ী নুরুল হক কোম্পানী গত ২৫ জুন শারীরিক অসুস্থতাবোধ করলে কক্সবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ডাক্তারের তত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। ২৭ জুন ডাক্তারের পরামর্শে তাকে কক্সবাজার ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার ২৭ জুন রাতেই চট্টগ্রামে রেফার করেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রামের ডেলটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ২৮ জুন সফলভাবে পাইলস্’র অপারেশন করা হয়। তবে রোগির অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ডেলটা হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়।

অসুস্থ ব্যবসায়ী নুরুল হক কোম্পানী’র মেঝো ছেলে ফরহাদ জানান, অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর প্রথম দুই দিন রোগীর অবস্থা ভালো ছিলো। কিন্তু ৩০ জুন অক্সিজেন সেচুরেশন আশংকাজনক ভাবে নেমে যাওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে ১ জুলাই সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাই ফ্লু নজেল ভেন্টিলেটর সম্বলিত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

ফরহাদ আরো বলেন, আমার আব্বাকে ১ জুলাই থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। কিন্তু ১২ জুলাই পুনরায় অপারেশনস্থলে ইনফেকশনের ফলে রক্তক্ষরণ শুরু হলে রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।

সূত্র জানায়, চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী নুরুল হক কোম্পানীর শরীরে একই সময়ে কয়েকটি রোগের অস্থিত্ব ধরা পড়ে। আকস্মিকভাবে অক্সিজেন সেচুরেশন কমে গিয়ে দীর্ঘ ১৭ দিন হাপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১২ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ