ডোমারে ইউনিয়ন পরিষদের আম পারায় চেয়ারম্যানের লোকজনদের বিরুদ্ধে মা-ছেলেকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ


রতন কুমার রায়,স্টাফ রিপোর্টার:
 

নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের গাছের আম পারানোর কারণে পাঙ্গা মটুকপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম এন্দার লোকজন শাহিন কবির নামের এক দোকানদার ও তার মাকে রাস্তায় ফেলে বেধরক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকাল ১১ টার দিকে পাঙ্গা চৌপথি মোড়ে এ ঘটনাটি ঘটে।  

তবে মারামারিটি তাদের পরিবারিক বলে ইউপি চেয়ারম্যান দাবী করেছে। শাহিন কবির (৩০) ও তার মা শেরিনা বেগম(৪৮) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শাহিন কবির অভিযোগ করে বলেন, পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে আমার পানের দোকানের সাথে লাগোয়া একটি আম গাছ রয়েছে। সকালে ওই গাছ হতে আমার ছোট ভাই শাহজাদা তালেব শুভ কয়েকটি আম পারে। ছোট ভাই ইউনিয়ন পরিষদের আম কেন পারিয়েছে আমার কাছে জানতে চেয়ে চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক আব্দুল মতিন আমাকে মারধর শুরু করে। 

আমি দৌঁড় দিয়ে আমার দোকানের ভিতরে ঢুকে ঝাপ লাগিয়ে দেই। দোকান থেকে বের না হলে আমাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয় মতিনসহ কয়েকজন। ভয়ে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই। পুলিশ এসে আমাকে দোকানের ভিতর থেকে বের করে দেয় ও গন্ডোগোল করতে সবাইকে নিষেধ করে চলে যায়। কিছুক্ষন পর এমদাদুল চেয়ারম্যানের সামনে মতিনসহ কয়েকজন আমাকে বলে, তোর এতো বড় সাহস তুই চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে ৯৯৯ এ খবর দিস। তারপর তারা আমাকে মারধর করতে শুরু করে। আমি রাস্তায় পড়ে গেলে আমার মা আমাকে জড়িয়ে ধরে। তারা আমার মাকেও লাথি মারতে থাকে। 

এসময় এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমার বাড়ী আমার খামারের মাঠ সহকারী সনাতন রায় বলেন, পাঙ্গা চৌপথি মোড়ে কয়েকজন এক নারী ও এক ছেলেকে বেধরক মারধর করতেছিল। আমি তাদের বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করি। এসময় মতিনের বাবা আব্দুর রশিদ আমার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকেও মারধর শুরু করে। অভিযুক্ত আব্দুল মতিন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কাঁচা আম পারাতে আমি নিষেধ করায় শাহিন কবির আমার নাখে ঘুষি মারে। আমি কাউকে মারধর করি নাই। 

এ বিষয়ে পাঙ্গা মটুকপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম এন্দা বলেন, আসলে বিষয়টা ওদের পারিবারিক গন্ডোগোল। মারামারির সময় আমার বাড়ি আমার খামারের সনাতন রায় ছবি তুলতেছিল। তাই ওর মোবাইল একজন কেড়ে নেয়। ওই মারামারিতে আমার কোন হাত নেই। 

ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারী গভীর রাতে ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল ইসলাম এন্দার কথা বলে পাঙ্গা চৌপথী হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৩ টি কম্বল লুট করার অভিযোগ ছিল চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনার তিনদিন পর এলাকাবাসীর চাপের মুখে মতিন মাদ্রাসায় কম্বলগুলো ফেরত দেয়।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ