আহছানিয়া মিশনের ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের শাখা ম্যানেজার রুহুল দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে উধাও


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু,পঞ্চগড়ঃ

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহছানিয়া মিশনের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ডাম ফাউন্ডেশনের বোদা শাখার সাবেক ম্যানেজার রুহুল আমিন সংস্থার ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পের সদস্য সুজন দাসের দেড় লাখ টাকা প্রতারনা করে পালিয়েছে। 

প্রতারনার শিকার সুজন দাস সম্পতি ওই শাখা ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে সংস্থার উর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষে লিখিত ভাবে অবহিত করলেও এখন পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি। ফলে এলাকায় দারুন ক্ষোভ ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে সুজন দাস জানান, পঞ্চগড়ের বোদা শাখায় কর্মরত থাকাকালিন সময়ে উক্ত প্রতারক ম্যানেজার রুহুল আমিন ও হিসাব রক্ষক হিমেল সংস্থার সঞ্চয়ী হিসাব খাতে টাকা জমা রেখে উল্লেখ যোগ্য লভাংশ পাওয়া যায় মর্মে উদ্বুদ্ধ করে। এতে সুজন দাস ও তার পরিবার বিশ্বাস স্থাপন করে হিসাব রক্ষক হিমেলের সামনে শাখা ম্যানেজারের হাতে দেড় লাখ টাকা তুলে দেয়। 

দীর্ঘসময় অতিক্রম করলে পাস বহিতে প্রদেয় টাকা সংযুক্ত করার তাগিদ দেয় সুজন দাস। এতে শাখা ম্যানেজার কালক্ষেপন করে। পরে জানা যায় উক্ত ম্যানেজার অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন। নতুন কর্মস্থলে গিয়ে টাকা চাইলে সুজন দাসকে স্বাক্ষরিত দেড় লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে। ব্যাংকে গেলে তার ব্যাংক একাউন্টে উক্ত পরিমান টাকা পাওয়া যায়নি। সংস্থার পঞ্চগড় এরিয়া ম্যানেজার রবিউল হক ও সংশ্লিষ্ট শাখার হিসাব রক্ষক মো. হাসানুজ্জামান হিমেল এ প্রতারনা সাথে জড়িত রয়েছে। 

এ বিষয়ে পঞ্চগড় এরিয়া ম্যানেজার রবিউল হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রদত্ত চেকটি সাবেক ম্যানেজারের ব্যক্তিগত চেক এবং সুজন দাসের সাথে তার ব্যত্তিগত লেনদেন হয়। এতে সংস্থার কোন দায় নেই। উল্লেখ্য, উক্ত প্রতারক ম্যানেজারের সাথে সুজন দাসের পরিচয় হয় সংস্থার মাধ্যমে। সঞ্চয়ী হিসাব খাতে টাকা রাখার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করে ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্টরা। একজন ম্যানেজার হিসেবে সংস্থার পক্ষে মূলধন সৃষ্টির জন্য খাতয়ারী কার্যক্রম সংস্থার ম্যানেজার করে থাকেন। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় শাখার হিসাব রক্ষক হিমেলসহ ঐ প্রতারক ম্যানেজার সুজন দাসের দেড় লাখ টাকা হাতিয়েছেন। 

এতে সংস্থার দায় রয়েছে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল। সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার দায় এরিয়ে প্রতারক ম্যানেজার রুহুল আমিনকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাছেন। এতে দেশের বড় এই বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আহছানিয় মিশনের শুনাম ও ভাবমুর্তি দারুন ভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে। এবং একই সাথে সংস্থাটির ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্পসহ অন্যান্য কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী সংস্থার সদস্য সুজন দাস তার মুল পুঁিজ হারিয়ে পথে বসেছে। সংস্থার কিস্তি পরিশোধ সহ সংসার নির্বাহে দিশেহারা হয়ে এখন সে সকলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ