নীলফামারীতে একই পদে দুই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দন্দ ৮ মাস ধরে বেতন বন্ধ


বিশেষ প্রতিনিধিঃ

দুই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দন্দ ও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নীলফামারী জলঢাকা মীরগঞ্জ হাট মহাবিদ্যালয়ের ৪২ শিক্ষক কর্মচারী ৮মাস ধরে বেতন তুলতে না পারার কারনে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মহাবিদ্যালয়টিতে একই পদে ২জন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের নানান জটিলতার কারনে তারা এই বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

এ বিষয়ে মামলা হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে এবং হাইকোর্টের রায়ে সিনিয়র শিক্ষক আব্দুস সাত্তারকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে বেতন বিলের স্বাক্ষরে আদেশ প্রদান করে। প্রতিপক্ষের আপিলের কারনে বেতন-ভাতা বন্ধ আছে। মহাবিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার জানায়, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০ সালে আমাকে সিনিয়র অব দ্যা মোষ্ট হিসেবে সরকারি বিধি অনুযায়ী এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ প্রাপ্ত গভর্নিং বডির সভাপতি সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা। 

সাবেক অধ্যক্ষ বজলুর রহমান অসুস্থ্য থাকাকালীণ সময়ে ৩দিনের জন্য ১৪ নং কম্পিউটার শিক্ষক আবুজার রহমানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছিলেন যা নিয়মবহির্ভূত। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অধ্যক্ষের শূণ্যতায় জেষ্ঠ্যতমকেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিতে হবে। কিন্তু কি করে জেষ্ঠ্যকে বাদ দিয়ে ১৪ নং জুনিয়র কম্পিউটার শিক্ষককে ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব প্রদান করে। মীরগঞ্জহাট মহাবিদ্যালয়ের প্রদর্শক রেজাউল ইসলাম ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী ছবিল হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের জটিলতার কারনে ৮ মাস ধরে আমরা বেতন পাচ্ছি না। 

পরিবার পরিজন নিয়ে  মানবেতর জীবনযাপন করছি। তাদের মত কলেজটি হিসাবরক্ষর ফজলুর রহমান, প্রভাষক রফিকুল ইসলাম, ফরিদুজ্জামান, মিজানুর রহমান, মোসলেম উদ্দিনসহ অনেকে জানিয়েছেন তাদের বেতন না পাওয়া ও পরিবারের কষ্টের কথা। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর হামিদুল হক জানান, মীরগঞ্জহাট মহাবিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের ৮ মাস ধরে বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। 

এদের পরিবারের কথা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহাবুব হাসান বলেন, মামলা জটিলতার কারনে বেতন-ভাতাদি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আইনি জটিলতা কাটলে আমরা বেতন দিতে প্রস্তুত। এর আগেও একই ঘটনায় এই প্রতিষ্ঠানে  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৬ মাসের বেতন-ভাতা প্রদান করেছেন বলে দাবী শিক্ষক কর্মাচারীদের। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ