তেতুঁলিয়ায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধি আছিয়া আজ অসহায় ‘হণ্য হয়ে ঘুরে ও পেলোনা একটি ঘর


মোঃ কামরুল ইসলাম কামু পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ
 

পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া উপজেলার প্রতিবন্ধি আছিয়ার খবর কেউ রাখেনা ‘ জীর্ণ শীর্ণ বাড়িতে তার বসবাস। শীতে তার খবর কেউ রাখেনা । তাছাড়া দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম।ঘর সংস্কারের আর্থিক সাহায্য ও নতুন সরকারী পাকা ঘরের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে আবেদন করেও মেলেনি কোন ধরনের সহযোগিতা পাননি।দিনের পর দিন ঘুরতে হয়েছে ইউএনও অফিস চত্বরে।তাতেও সাড়া মিলেনি ‘ মন গলেনি কারো।

তিনি পঞ্চগড় তেঁতুলিয়া উপজেলা দেবনগড় ইউনিয়নের সিতাপাড়া এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের মেয়ে দৃষ্টি ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মোচ্ছা আছিয়া বেগম (৭০)। ওই ইউনিয়নের ইংডাঙ্গা এলাকার মৃত আমির হোসেন এর সাথে ঘর সংসারে একটি ছেলে সন্তানের মা হওয়া পর হতভাগির এই বৃদ্ধার ছেলে সন্তানদের জায়গা হলে ও আছিয়ার স্বামীর সংসার ভেঙ্গে যায়। নিজের কোন জায়গা নেই ছোট ভাইয়ের হাফ শতক জমিতে ভাঙ্গা বাঁশের পোলেথিনের  ভাঙ্গা জরাজীর্ণ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন অসহায় হতদরিদ্র দৃষ্টি প্রতিবন্ধী আছিয়া।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছোট ভাইয়ের হাফ শতক জায়গায় পোলেথিন ও বাশেঁর চালা দিয়ে ঘর করে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কনকনে শীতে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তার। উপজেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের দেওয়া তিন মাস পর পর প্রতিবন্ধী ভাতা ২ হাজার ১৫০ টাকা দিয়ে চলে তার সংসার। অশ্রুসিক্ত চোখে প্রতিবন্ধী বৃদ্ধা  জানান, আমি ঘরের সংস্কার ও একটি সরকারী ঘরের জন্য দরখাস্ত দেই দেবনগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বরাবরে । এরপর তিনি সরেজমিনে তদন্ত করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সুপারিশ করেন তিনি।

এদিকে গত ৩০ নভেম্বর তেঁতুলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা  লিখিত আবেদনটি পড়ে তিনি সমাজ সেবা অধিদপ্তরে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন।এরপর থেকে দৃষ্টি ও শারীরিক প্র্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম দুই মাস ধরে তেঁতুলিয়া নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে দিনের পর দিন ঘুরতে থাকেন।তারপরেও বৃদ্ধা ঘর পাননি।  

এ বিষয়ে আবেগ আপ্লুত কেদেঁ কেঁদে তিনি জানান, দুই মাস ধরে ঘুরছি ইউএনও সাথে দেখা করবো আমার ঘরের চালা নেই পোলেথিনের ঘর বসবাস করতে পারি না। এদিকে তার একথা শুনে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এধরণের কোন আবেদন পাই নাই আমি বাইরে আছি আপনারা আমার বাংলোর সামনে থাকেন দেখা করবো। অথচ দীর্ঘক্ষণ  অপেক্ষা করেও নির্বাহী কর্মকর্তার সাক্ষাত পান নি সংবাদ কর্মীরা। তবে জানা যায়, আবেদনটি সমাজ সেবা অধিদপ্তরে প্রদান করা হলে পরবর্তীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী আছিয়া বেগম জন্য দুই হাজার টাকার আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয় অসহায় আছিয়াকে।

এ বিষয় দেবনগড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মহসিনউল হক’এর সাথে মোবাইন ফোনে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি জানান,আমি সরজমিনে তার ঘরের অবস্থা দেখে সুপারিশ করি ‘যেনো আছিয়া বেগম সরকারী ঘর পান। তার জন্য একটি ঘর জরুরী প্রয়োজন। কেননা তিনি একজন অসহায় ও প্রতিবন্ধি মানুষ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ