উত্তরাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত, ভোগান্তি বাড়ছে ছিন্নমূল মানুষের


লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটসহ উত্তরের সব জেলাতেই জেঁকে বসেছে শীত। এরই মধ্যে এসব অঞ্চলের মানুষ আগমনী বার্তায় শীত নিবারণের প্রস্তুতি নিলেও রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছে হত-দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ।

ইতোমধ্যেই উত্তরের জেলাগুলোতে বইছে শীতের আমেজ, পরতে শুরু করেছে কুয়াশাও। একই সাথে শীতের আমেজে ফুটে উঠছে, আবহমান গ্রাম-বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের রূপও।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাত ১২টার পর থেকে দেশের এই অঞ্চলে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এই শীত গরম কাপড় ও কাঁথা মোড়াতে বাধ্য করেছে সবাইকে। দিনে রোদ থাকলেও সন্ধ্যার পর শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরের আবহাওয়াও বেশ ঠাণ্ডা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বৃহস্পতিবার। তবে দু’একদিনে তাপমাত্রা আরও কমবে বলেও জানা গেছে।

এ দিকে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে লালমনিরহাটে মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর হালকা বাতাস বইতে শুরু করেছে। পাশাপাশি শুক্রবার (৬ নভেম্বর) বিকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও বাতাসে শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। গরম কাপড় গায়ে দিয়ে, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে বেতাগীর মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন। অথচ এক দিন আগেও সাধারণ পোশাকেই ঘুরে বেড়িয়েছেন তারা।

জেলায় কর্মরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হঠাৎ শীত পড়ায় বয়স্ক ও শিশুদের অ্যাজমা, জ্বর, সর্দি ও ফুসফুসে ঠাণ্ডাজনিত রোগ হতে পারে। তাই এ বিষয়ে তারা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় দৈনিক অধিকারকে বলেন, হঠাৎ শীত পড়ায় বয়স্ক, শিশুসহ সব বয়সী মানুষের জ্বর, মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসের ঠাণ্ডাজনিত রোগ হতে পারে। তাই এই সময়ে করোনা মহামারি এড়িয়ে শীত নিবারণে সকলকে গরম কাপড় পরিধানের পরামর্শ দেন তিনি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ