দিনাজপুরের খানসামায় আগাম আলু রোপনের ধুম পড়েছে


চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় আগাম আলু রোপনের ধুম পড়েছে। গত বছর লাভ বেশি পাওয়ায় এবার কৃষকেরা আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।

খানসামা উপজেলায় আগাম জাতের আমন ধান লাগানো হয়েছিল। ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে আগাম আলু লাগানোর কাজ। এ জন্য জমি তৈরিসহ সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কুপরী, সেভেন, বগুরাই, সিলবিলাতি (লাল), গ্রানুলা ও কার্ডিলালসহ দেশি ও উন্নত জাতের আলু লাগানো হচ্ছে।

সিলবিলাতি ছাড়া অন্য জাতের আলু  ৫০/৫৫ দিনের মধ্যে তুলে বাজারজাত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কৃষকেরা। কৃষকদের মতে, ইতিমধ্যে প্রায় ২০ ভাগ জমিতে আলু লাগানো সম্পন্ন হয়েছে। খানসামা উপজেলার ৪নং খামারপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া (জমিদার নগর) গ্রামের কৃষক তাজ ফারাজুল ইসলাম চৌধুরী  ৩বিঘা জমিতে এবার সেভেন জাতের আলু লাগিয়েছেন। 

তিনি বলেন, এবার ধান কাটার পর জমিতে (আগাম) আলু রোপন করেছি, বীজের প্রচুর দাম। তারপরও আলু রোপন করছি। এ আলু ৫০/৫৫ দিনের মধ্যেই তোলা যাবে। আমাদের এখানে মাটি হচ্ছে বালুমিশ্রিত। ভারী বৃষ্টিপাত হলেও আলুখেতের ক্ষতি হয় না। তাই আগাম আলু চাষে কোনো ভয় থাকে না। এবার আমি নিজে তিনবিঘা মাটিতে আলু রোপন করছি।

খামারপাড়া গ্রামের আরেক জন কৃষক ধীরেন বলেন, ‘ আমরা হয়েছি গ্রামের মানুষ। এইখানকার মাটিতে সব আবাদও হয় না। বুদ্ধি-সুদ্ধি করে ফসল রোপন করতে লাগে। ভুট্টা, আলু, বাদাম, মরিচ, পেঁয়াজ এই ফসলগুলা ভালো হয়। এখন আলু গেড়েছি। এই আলু আগেই উঠবে, বাজারে তখন দামও ভালো থাকবে।’ 

উপজেলা কৃষি অফিসার বাসুদেব রায় জানান, খানসামায় প্রায় ১২০০ হেক্টর আগাম জাতের আলুর চাষ হচ্ছে। এখন যে জমিতে কৃষকেরা আলু লাগাচ্ছেন, তা ৫০/৫৫ দিনের মধ্যে তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা থাকায় এমনিতেই বাজারে দাম চড়া থাকে। 

বালুমিশ্রিত পলি মাটিতে আগাম আলুর ফলন ভালোই হয়। তাই কৃষকেরা আগাম আলু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর চাষ হবে। মাঠপর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানে আমরা তৎপর রয়েছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ