পলাশবাড়ীর অদম্য মেধাবী সৎ ও সাহসী মুজিব সৈনিক তন্ময় আহমেদ মুন আমাদের গর্ব

রফিক গাইবান্ধাঃ

সেই তন্ময় আহমেদ মুনের কথা বলছি যার উপর গত ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট প্রাননাশ নিশ্চিত করতে নিজ জেলা গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে বিএনপি জামাতের হায়েনারা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার উপর। মৃত্যু নিশ্চিত করে সেদিন হামলাকারী তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। 

কিন্তু রাখে আল্লা মারে কে সৃর্ষ্টিকর্তা উপরে কেউ হাত বাড়াতে পারেনি দীর্ঘদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে সে সুস্থ্য হতে না হতেই হাসপাতালেই আবারো পরিকল্পিত হামলা চালায় জামাত শিবিরের স্থানীয় কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক চক্র। এরপরেও ঘাতকের হাত হতে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাকে হেফাজত করছেন ঘাতকের হাতে প্রান হারাতে দেননি তিনি তো দয়াময়।

পলাশবাড়ী সদরের জামালপুর গ্রামের সফল পিতা মানিক সরকারের ছেলে তন্ময় আহমেদ মুন যেমন অদম্য মেধাবী ছিলো শিশুকাল হতে তেমনি নর্ম ভদ্র স্বভাবের ছিলো সে সেটা আমার উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ বলে বলবে। শিশুকাল হতে তার মধ্যে যেমন সত্যতা পেয়েছে তেমনি দেখেছে সাহস । সে নর্ম ভদ্র ও শান্ত সৃষ্ট স্বভাবের হলেও সাহসী ছিলো প্রচুর সে ভয় কে জয় করেই আজ অদম্য মেধাবী সৎ ও সাহসী পরীক্ষিত তৃণমুল হতে উঠে আসা মুজিব সৈনিক।

কেন সেদিন তন্ময়ের উপর পরিকল্পিত ভাবে প্রান নাশের জন্য হামলা করা হয়েছিলো তার অপরাধ কি ছিল জানেন? কারন ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুসারি হিসাবে সে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখে, সে সময়কালে দেশবিরোধী জামাত-শিবিরের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সে সোচ্চার ছিলো। এবং জামাত শিবিরের কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যে সকল অপপ্রচার গুজব,মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ও বুয়েটে বিশ্ববিদ্যালয়ে অপশক্তির গড়া ধর্মীয় ছাত্র সংগঠন গুলোর বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ছিলো তার মুল অপরাধ । 

আর এ কারণে জামাত শিবিরের কেন্দ্রীয় হাই কমান্ড হতে তৃণমুলের সমন্বয়ে এই হামলা করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে চেয়েছিলো হামলাকারীরা। আর বর্তমান সময়ে দলীয় ও রাষ্ট্রীয় কর্মযোজ্ঞে সৎ ও সাহসী ভুমিকা পালন করায় তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সাবেক ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, হামলার পর কেন মিডিয়াতে কেন ওর নাম আসেনাই, কেন সুশীলরা ওর ব্যাপারে চুপ ছিল, কেন তন্ময়ের নাম টকশো গুলোতে অনুপস্থিত ছিল জানেন? কারন ছেলেটা ছাত্রলীগ করে!! ছাত্রলীগ যারা করে তারা আর যায় হোক মানুষ হতে পারেনা এটা আজ অনেকে বিশ্বাসী ধারণা হয়ে দাড়িয়েছে।  

তবে আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া তন্ময় আমাদের মাঝে বেঁচে আছে। আজ আমাদের এই ভাইয়ের মৃত্যু বার্ষিকী পালন করতে হচ্ছে না। যদিও তার সারা শরীরে সেই হামলার এখনো রয়েছে অজ¯্র কোপের দাগ ও ক্ষত বহন করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রতিটি মূহুর্ত ভুগতে হচ্ছে শাররিক জ্বালা যন্ত্র। 

তবু আজও থেমে নেই সেই জামাত শিবিরের দোসরদের পরিকল্পনা তারা যখন আর অস্ত্র দিয়ে তন্ময় আহমেদ মুন কে মারতে পারছেনা সে কারণে তারা আবার তাকে ঘিরে নানা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। মিথ্যাচার করে তাকে ঘায়েল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু সহায় যদি থাকেন মহান আল্লা তাহলে তন্ময় আহমেদ মুনের কিছুই হবে না । যেমন ভাবে তন্ময় আল্লাহর অসীম করুণায় আজ সুস্থ্য আছেন। ঠিক তেমনি তিনি তাকে সব বিপদ আপদে রক্ষা করবেন ।

প্রাননাশী হামলার পরে সুস্থ হয়েই দলের ও রাষ্ট্রের জন্য তন্ময় কাজ করে যাচ্ছেন আজ অবধি নীরবে তন্ময়েরা পরীক্ষিত মুজিব সৈনিক ঢোলবাজিয়ে নয় এইভাবেই নীরবে কাজ করে যায় দল বা ব্যক্তি হতে কোন প্রতিদানের আশা না করে..কারন তন্ময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আর্দশের পরীক্ষিত সৎ ও সাহসী সৈনিক। 

এই তন্ময় আহমেদের মতন যোদ্ধারা আছে বলেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এখনো স্ব-মহিমায় স্বগর্ভে মমতাময়ী মায়ের হাতে আলোকিত। স্যালুট এই রকম একজন নেতাকে আমাদের পলাশবাড়ীতে পেয়ে। যিনি মুজিব সৈনিক হিসাবে দল ও দেশের জন্য কাজ করে চলছেন যার কারণে আজ অপশক্তির অপপ্রচার ও মিথ্যাচার তাকে ঘিরে।

উল্লেখ্য এর আগে গত ২০১৩ সালে ১০ আগস্টে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয় তন্ময় আহমেদ মুন। এদিন শনিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছিলো। তন্ময় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের জামালপুর গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র। 

শিক্ষা জীবনে কিন্ডারগার্ডেন স্কুল হতে ভালো ফলাফল করায় ৫ পঞ্চম শ্রেনীতে বৃত্তি ও অষ্টম শ্রেনীতেও সে বৃত্তি পেয়েছে । পলাশবাড়ী এস এম পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় বোর্ড স্ট্যান্ড করে । এরপর ঢাকায় এডমিশন করে সেখানে সেন্ট যোসেফ কলেজে চান্স পায় সেখানেও তার রেজাল্ট গোল্ডেন এ প্লাস পেয়ে পরে বুয়েটে চান্স পায় সে । 

এছাড়া সে ছিল অত্যান্ত মেধাবী যার ফলে সবার মন জয় করে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এরপর জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে বুয়েটে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলে দেশ জুড়ে আলোচিত হন । জামাত শিবিরের দলীয় হাই কমান্ড এর নির্দেশে তন্ময়কে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিলো বলে দাবী তার পরিবার ও স্থানীয় দলীনেতাকর্মীদের।

পলাশবাড়ীর কৃতিসন্তান তন্ময় আহমেদ মুন বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ওয়েব টিম সিআরআই এর কোর্ডিনেটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য  একই সাথে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপকমিটির  সদস্য হিসাবে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছেন ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ