খাদেমুল মোরসালিন শাকীর নীলফামারীঃ
আগামী বছরের মার্চ মাসে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নে আগাম ভাবে বইছে নির্বাচনী হাওয়া।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পুটিমারী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নাজনীন চৌধুরীর মৃত্যুর পরের দিন ৬ জুলাই ওই আসনকে শূন্য ঘোষনা করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষনা করা হলে ৩জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমাদানের শেষ তারিখ ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর।
এতে ৩ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। ২৬ সেপ্টেম্বর যাচাই বাছাইয়ে ৩ প্রার্থীকে বৈধ হিসেবে ঘোষনা করেন উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার রফিকুল ইসলাম। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ অক্টোবর কোন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় ৩ প্রার্থী লড়াই করবেন এ উপ-নির্বাচনে। ভোট গ্রহনের তারিখ ২০ অক্টোবর ঘোষনা করা হয়।
৩ জন প্রার্থীর বিপরীতে ৪,৫ ও ৬ ওয়ার্ডে (সাবেক ২ নং ওয়ার্ড) মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৫শ’ ১৮ জন ভোটার। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪ হাজার ২শ’ ৫৯ জন ও মহিলা ভোটার ৪ হাজার ২শ’ ৫৯ জন। ৩ কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের জন্য বুথ থাকবে ২১টি। ৩ ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষনে থাকবে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ ও আনসার সদস্য।
উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সংরক্ষিত আসনের সদস্য নাজনীন চৌধুরী গত ৫ জুলাই মারা যান। তার মারা যাওয়ার কারণে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই আসনকে শূন্য ঘোষনা করেন। স্বপ্ল সময়ের জন্য নির্বাচন না করে আলোচনার মাধ্যমে মরহুমা নাজনীন চৌধুরীর মেয়েকে সংরক্ষিত সদস্য পদের জন্য এলাকাবাসী দাবী তুললেও অন্যান্য প্রার্থীরা তার বিরোধিতা করে নির্বাচন দাবী করেন অন্যান্য প্রার্থীরা।
আসন শূন্য ঘোষনা হওয়ার সাথে সাথে ওই এলাকার সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। আবার অনেক প্রার্থী মাত্র ৩ মাসের জন্য নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করে তাদের পরিচিতি লাভের জন্য ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে দোয়া প্রার্থনা করছেন। কিছু প্রার্থী তাদের সমর্থন যাচাইয়ের জন্য উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ এ উপ-নির্বাচনে। এলাকাবাসীও আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য চায়ের দোকানে, বাজারে ও গ্রামের ছোট দোকানগুলোতে উপ-নির্বাচনের আলাপ চারিতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কালিকাপুর চৌধুরী পাড়ার ভোটার মরিয়ম বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এই এলাকায় দু’জন প্রার্থী। নাজনীন চৌধুরীর মারা যাওয়ার পর বাকী সময় তার মেয়ে মীম চৌধুরী ভোটের আশা করে। তবে ৬ নং ওয়ার্ডে যেহেতু দুইজন প্রার্থী সে ক্ষেত্রে সমান সমান প্রতিদ›িদ্বতা হবে। যে যার মন জয় করতে পারবে সে প্রার্থী বিজয়ী হবে।
কালিকাপুর ৪ নংওয়ার্ডের নতুন ভোটার রেজেকা আক্তার বলেন,আমি যেহেতু এবার নতুন ভোটার সেহেতু ভাল প্রার্থীকে ভোট দান করবো। তবে ৬ নং ওয়ার্ডে ২জন প্রার্থী থাকায় ৪নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হাসু বেগম ভাল পর্যায়ে আছে।
এ ব্যাপারে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী মিম চৌধুরী বলেন,আমার মায়ের ভালবাসা ও জনপ্রিয়তার কারণে আমি তার সন্তান হিসেবে আমার মায়ের রেখে যাওয়া দায়িত্বটুকু পালন করতে চাই। মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে চাই।
সাবেক সংরক্ষিত সদস্য ও বর্তমান সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থী রৌফা বেগম বলেন, আমি স্বল্প সময়ের জন্য জনগণের ভালবাসা ও সমর্থন নিয়ে বিজয় লাভ করতে চাই। আশা করি সকল ভোটার আমাকে সমর্থন দিবে।
হাসু বেগম বলেন,আমি কোন প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী ভাবী না। ৬ নং ওয়ার্ডে ২ জন প্রার্থী হওয়ায় আমার বিজয় হবে ইনশাআল্লাহ। কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আউয়াল বলেন, কোন কেন্দ্র ঝুকিতে থাকবে না। যেহেতু এটা উপ-নির্বাচন এখানে কোন প্রার্থী বিশৃংখলা করার সাহস পাবে না।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন,আগামীকাল রবিবার সকাল ১০ টায় প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতীক পাওয়ার পর মাঠের হালচাল সম্পর্কে বলতে পারবো।
0 মন্তব্যসমূহ