ঝাড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


জাহাঙ্গীর রেজা, স্টাফ রিপোর্টারঃ
 

নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী ঝাড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা:  কমলা বেগম , সহকারী শিক্ষক মো: মোতালেব হোসেন,ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোছা: সাহেরা বেগম, সদস্য রন্জু ইসলাম, অহিদুজ্জামান, মোছা: রাশেদা বেগম ও প্রধান শিক্ষকের স্বামী আইনুল হকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

বিদ্যালয়ের উন্নয়নে ক্ষুদ্র মেরামত, স্লিপ বরাদ্দ, রুটিন ম্যান্টেনেন্স এবং প্রাক-প্রাথমিক খাতে বরাদ্দপ্রাপ্ত ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোন কাজ না করেই আত্মসাৎ করেছে বলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি দুর্নীতি দমন কমিশন রংপুর বিভাগীয় পরিচালক বরাবর এবং অনুলিপি মহাপরিচালক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মীরপুর-২ ঢাকা-১২১৬, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, নীলফামারী জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মোছা: কমলা বেগম ও অভিযুক্ত সকলের যৌথ পরামর্শে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের খগাখড়িবাড়ী ঝাড়পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ক্ষুদ্র মেরামত বরাদ্দের ১ লাখ ৫০ হাজার, স্লিপ বরাদ্দের ৫০ হাজার, রুটিন ম্যান্টেনেন্সের ৪০ হাজার ও প্রাক-প্রাথমিক  বরাদ্দের ১০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন এবং ১৮ -৮ -২০২০ ইং ইচ্ছামত ব্যয়ের ভাউচার তৈরী করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাখিল করেন ৷ এসব বরাদ্দের টাকা প্রাপ্তি এবং ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সংশ্লিষ্টতার বিধান থাকলেও প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে গোপনে এসব টাকা উত্তোলন করে কোনো কাজ ছাড়াই সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে দাবি করা হয়।

অভিযোগকারী ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি মো: নওশের আলম জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা: কমলা বেগম ও সহকারী শিক্ষক মো: মোতালেব হোসেন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাৎ করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক মোছা: কমলা বেগমের সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতসহ উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া হয়েছে। বরাদ্দের টাকা আলমিরা, ফ্যান, চেয়ার ও বিদ্যালয়ের সংস্কারের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। আত্মসাতের অভিযোগটি সঠিক নয়। তিনি আরো বলেন, আসলে যে ব্যাক্তি অভিযোগ করেছে তাকে টাকার ভাগ দেওয়া হয় নাই তো তাই। 

প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার কিছুক্ষণ পরে প্রধান শিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে বলেন, আমি সাংবাদিক আঁখি আপনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক? আপনার নাম কি? কোথায় থেকে আসছেন? উত্তরে কেন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোথাও কোন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে আগে তথ্যদাতাকে ফোন করে বলা উচিৎ না !  তথ্যদাতাকে বলতে হবে যে আপনার সাথে কথা আছে আপনি সময় দিতে পারবেন কি না এটা বলে আসা উচিত ৷

অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার দাস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্তের দায়ীত্ব সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলমকে দেওয়া হয়েছে তিনি এখনো তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় নাই। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ফিরোজুল আলমের কাছে মুঠোফোনে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে তবে এখনো প্রাপ্ত তদন্ত রিপোর্ট অফিসে জমা দেয়া হয় নাই।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ