ডোমারে স্ত্রীকে উত্তাক্ত করায় ইউপি সদস্যকে পেটালেন স্বামী

রতন কুমার রায়,স্টাফ রিপোর্টারঃ 

নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে ও রাস্তায় উত্তাক্ত করায় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যকে পেটালেন ভুক্তভোগীর স্বামী। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ওই  ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শাহাজাহান আলীকে(৩৮) লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আনতানুর হক আলম। 

আলম ওই ইউনিয়নের পূর্ব হংসরাজ গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী তার ওয়ার্ডের হিন্দু ধর্মের একটি মেয়েকে ধর্ষনের মামলারও আসামী। ওই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছে। শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে একাধীক নারী কেলেংকারী অভিযোগ রয়েছে। 

আলম জানায়, আমি ঢাকায় হোটেলে বাবুর্চির কাজ করি। আমার স্ত্রী দুই শিশু পুত্র নিয়ে আমার মায়ের সাথে থাকে। সেই সুযোগে ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী প্রায় সময়ে আমার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে বিরক্ত করে। বাড়ীর বাইরেও তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্তক্ত করে। আমার স্ত্রী আমাকে মোবাইল ফোনে জানায়,ইউপি সদস্য আলী ফোনে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব ও অশ্লীল কথা বলে। 

কু-প্রস্তাবের বিষয়টি আমাকে সহ অন্য কাউকে  জানালে তার বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। আমি তাকে ফোন বন্ধ করে রাখতে বলে গত বৃহষ্পতিবার ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসি। বাড়ীতে এসেই আমি ফোনটি সচল করে নিজের কাছে রাখি। এরপর হতে শাহজাহান আলীর ব্যবহৃত দু’টি ফোন নম্বর থেকে বারবার কল আসতে থাকে। আমি কাউকে কিছু না বলে শাহজাহানকে খুজতে থাকি। 

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাবুর ডাঙ্গা বাজারে তাকে দেখতে পেয়ে আমার স্ত্রীকে উত্তক্ত করার কারন জানতে চাইলে সে উল্টো আমার স্ত্রীকে নিয়ে অশালিন মন্তব্য করে। এতে আমি উত্তেজিত হয়ে পাশে একটি লাঠি পেয়ে তাকে মারধর করি। ওই সময়ে গ্রাম পুলিশ সদস্য সাহেব আলী আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। সাহেব আলী আসল ঘটনা জানতে পেরে আমার কাছে ভুল স্বিকার করে দুঃখ প্রকাশ করে।

ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী জানান মোবাইল ফোনে কল করা নিয়ে আলমের সাথে আমার ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।

হরিনচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, আলম আমাকে মোবাইল ফোনে জানায় ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে উত্তাক্ত করে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ