টেকনাফে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে মাদক কারবারীদের তৎপরতা

আব্দুল আলীম নোবেলঃ টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদে বিগত ১৬ সালের ২২ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় ইতিমধ্যে ঐ নির্বাচনের মেয়াদকালের তালিকা চাইলে নির্বাচন কার্যালয়ের পক্ষ থেকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিগত দিনের জনপ্রতিনিধিদের মেয়াদকাল প্রায় শেষ উল্লেখ করে প্রতিদবেদন প্রেরণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বেদারুল ইসলাম।

উল্লেখ যে, ঐ পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজান মিয়া মাদক মামলায় জেলে যাওয়ার পরপর গেল বছর সেপ্টেম্বর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মেম্বার আবু সৈয়দ। এ পরিষদের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাদককারবারীরা উপর মহলে জোর তৎপরতা অব্যহত রেখে চলছে। বিশেষ করে সরকার ও বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার খায়েশে বড় নেতার আশে পাশে আসা-যাওয়া শুরু করেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণলায়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারী, মাদকসহ আটক হয়ে দাগী আসামী ও প্রশাসনের চক্ষুর আড়ালে মাদকের সাথে জড়িত থাকা অনেকেই রয়েছে। এসবের কারণে নিরীহ প্রার্থীরাও এখন বিভ্রত পরিস্থিতে পড়ছে বলে দাবী তাদের।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী নুরুল বশর জানান, দলীয় নির্দেশনার বাইরে কেউ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ নেই। তবে এখন থেকেই স্থানীয় কিছু সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর তৎপরতা চোখে পড়ছে।

টেকনাফ উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি এ্যাড হাসান সিদ্দিক জানান, এই পরিষদের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এখনো দলীয় কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে বেশকয়েকজন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী যোগাযোগ করেছে। তারমধ্যে জেলা বিএনপির সদস্য ও বর্তমান ইউপি সদস্য ওমর হাকিম, টেকনাফ উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মোক্তার আহম্মদ, সদর ইউনিয়নের বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল গফুর ও সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রফিক। 

অপরদিকে সূত্রে জানায়, সরকার দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে সদর ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ব্যবসায়ী আবু সৈয়দ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহম্মদের পরিবারের সদস্য, আওয়ামালীগ নেতা হাম জালাল, গুরা মিয়া ও ডাঃ গণি, সাবেক মেম্বার মীর কাশেম, বর্তমান ইউপি সদস্য ও নাগরিক কমিটির প্রার্থী শাহ আলম, উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবুল হোসন রাজু, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সরওয়ার আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোলতান মাহমুদ।

টেকনাফ উপজেলা শ্রমিকদলের সাবেক সভাপতি ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মোক্তার আহম্মদ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিলে জনগণের সেবা করতে প্রস্তুত আছেন তিনি। তবে ইয়াবা কারবারীদের দ্বারা তার জমি দখল সহ বিভিন্ন ষড়যন্তমূলক মামলা-হামলার শিকার হয়ে সেই অনেকটাই অসহায় হয়ে আছে। এরপরও জনগণের পাশে থাকতে আগামী নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ