পলাশবাড়ীতে জমি ১১ বছর ভোগদখলে থাকা সত্বেও নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছেনা নির্মানাধীন বসতবাড়ীর

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর মৌজার পুরাতন দাগ ৭১৭ এবং হাল দাগ ৯২৫ এর আওতাভুক্ত খাজনা খারিজকৃত ১৮ শতাংশ জমির ক্রয় সুত্রে মালিকানা ও প্রায় ১১ বছর হলো ভোগদখল করে থাকা সত্বেও নানাভাবে হয়রানী ও পেরেশানি শিকার হয়ে নির্মানাধীন বসতবাড়ী কাজ শেষ করতে না পারায় মানববেতর জীবন যাপন করছেন এ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা পিতা মকবুল হোসেন ও পুত্র জাহিদুল ইসলাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জমির ভোগদখলে থাকা জায়গাটিতে তারা গত ২ বছর আগে তিনতলা পাকা বাড়ী নির্মাণে আর আরসিসি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ হলেও তারা সেখানে বসতবাড়ী নির্মাণে নানা ভাবে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বাড়ী নির্মাণ করতে না পাড়ায় পারিবারিকভাবে বসবাসে নানা দূভোগ পোহাচ্ছে। 

এঘটনায় উক্ত জমির কোন মালিকানা না থাকা সত্বেও স্থানীয় বানভাসী বেগমগং এ পরিবারটি কে নানা ভাবে হয়রানী করে চলছে। এবং অন্য এক ব্যক্তিকে দাতা সাজিয়ে একটি দলিল করে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ে করে নানা ভাবে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে মামলায় উক্ত জমি পতিত দেখিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন দায়িত্বপ্রাত্ব সার্ভেযার। 

এ প্রতিবেদনের বিষয়ে আদালতে নারাজি করায় আবারো সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত । যদিও এর আগে এঘটনায় স্থানীয় হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অভিযোগ দিয়েও আইনী সহায়তা না পেয়ে বরং বাড়ী নির্মাণ কাজে বাধাগ্রস্ত হয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার মকবুল হোসেনগং।

উক্ত জমিতে ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন গং এর ভোগদখল এর বিষয়টি সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় জামে মসজিদের মোয়াজ্জেন মোঃ রাজু মিয়া জানান, এটি আমাদের গ্রাম এ গ্রামে বাসিন্দা মকবুল হোসেন ও তার পরিবার জমি অদলবদল ও ক্রয় সূত্রে মালিকানা গ্রহন করে প্রায় ১১ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছেন । এদিকে স্থানীয় প্রতিবেশী সাদেক আলী বলেন , 

আমরা দীর্ঘদিন থেকে দেখে আসছি এ জমিতে বৃক্ষরোপনসহ নানা ভাবে ভোগদখল করে আসছেন মকবুল হোসেনগং এর ধারাবাহিকতায় গত ২ বছর আগে তারা সেখানে পাকা বাড়ী নির্মাণ করার উদ্দেশ্যে তিনতলাবাড়ীর ভিক্তি ও আরসিসি পিলার স্থাপন করেন । এরপর হতে জৈনৈক বানভাসী বেগমগং এ জমির মালিকানা দাবী করে নানাভাবে হয়রানী করে আসছেন। 

এখন শোনা যাচ্ছে বানভাসী বেগমগং উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়ে ভোক্তভোগী পরিবারটিকে নানা ভাবে হয়রানী করছেন যা অত্যন্ত দুংখজনক। ভুক্তভোগী মকবুল হোসেন জানান, জমির বদলে জমি ও ক্রয় করে এজমিটি আমরা প্রায় ১১, জমির বদলে জমি ও ক্রয় করে এজমিটি আমরা প্রায় ১১ বছর হলে ভোগদখল করে আসছি। এরমধ্যে গত ২ বছর আগে বাড়ী নির্মাণের  ৫০ ভাগ কাজ শেষ করার পর বানভাসী বেগমগং ইর্ষানিত হয়ে আমাদের নানাভাবে হয়রানী করে চলছেন। 

আমরা ঘটনাটির সরেজমিন তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।  তবে এবিষয়ে অভিযুক্ত বানভাসী বেগম গং এর পরিবারের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কেউ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ