চকরিয়া-পেকুয়ার এমপি জাফর আলম এর কাছে নাছির উদ্দীন এর খোলা চিঠি

বরাবর,
মাননীয় সংসদ সদস্য,
কক্সবাজার-০১,
চকরিয়া-পেকুয়া।

বিষয়ঃ মুমূর্ষু রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন।

জনাব,
সবিনয় বিনীত নিবেদন এইযে আপনি চকরিয়া-পেকুয়ার বিপুল ভোটে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য এবং আমাদের একমাত্র অভিবাবক।আপনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখনমুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত একজন ব্যাক্তি। চকরিয়া পেকুয়াতে আমাদের সুখ দুঃখ বুঝার বা আমরা বলার মতন আপনি ছাড়া আর কেউ নেই।তাই আপনার উদ্দ্যেশে এই খোলা চিঠি। 

মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা সেবা অন্যতম।কিন্তু সেই চিকিৎসা সেবা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত আমরা চকরিয়া-পেকুয়াবাসী।আপনি জানেন চকরিয়া-পেকুয়া ও আশ পাশ এলাকায় প্রতিনিয়ত সড়ক দূর্ঘটনা সহ নানাবিধ দূর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। যে কোন দূর্ঘটনা সংঘঠিত হওয়ার সাথে সাথে বুক ভরা আশা নিয়ে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচাতে আমরা ছুটে যায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।কিন্তু সেখানে জরুরী বিভাগের দ্বায়িত্বে নিযুক্তদের অবহেলা,চিকিৎসক এর অনুপস্থিতি এবং দ্বায়িত্বে নিযুক্তরা নিজেদের অনাকাঙ্ক্ষিত কোন সমস্যার দ্বায়ভার এড়াতে তড়িঘড়ি করে মুমূর্ষু রোগী রেফার করে দেয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।অথচ একটু দ্বায়িত্ববান কিংবা কর্মের প্রতি আন্তরিক হলেই সেই মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসা সেবা চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করানো সম্ভব। কিন্তু তা না করে যথানিয়মে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে ঝুঁকিমুক্ত হয়ে যায় তারা।

যার ফলে দূর্ঘটনা সংঘটিত সেই মুমূর্ষু রোগীর হয়তো অভিভাবক উপস্থিত না থাকায় কিংবা অভিভাবকদের তাৎক্ষণিক কোন টাকা না থাকায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে ব্যার্থ হয়ে রোগী মারা যায়।

আবার অনেক রোগীর অভিভাবক ও টাকা থাকলেও এ্যাম্বুলেন্স ব্যাবস্থা করে রোগীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে প্রায় ৩/৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। যার দরুন যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পথে কিংবা মেডিকেল এর কাছাকাছি পৌঁছতেই অধিকাংশ রোগী মারা যায়।

গত ৩০ আগস্ট চকরিয়ার জিদ্দাবাজারে সংঘটিত সড়ক দূর্ঘটনায় দুই ভাই সহ তিন জন মেধাবী ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রথমে তিন জনকেই চকরিয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।দূই জন চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যু বরণ করলেও অপর জন কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এবং তার জন্য এ্যাম্বুলেন্স ব্যাবস্থা করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে কর্নফুলি ব্রীজ এর কাছাকাছি গেলে সেও মৃত্যু বরণ করে।যদি যথাসময়ে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেই রোগীর যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যেত হয়তো তাকে বাঁচানো সম্ভব হত। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য রোগী রেফার করে কিংবা আমরা যায় সেই চিকিৎসা ব্যাবস্থা যদি চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিশ্চিত করা যেত হয়তো অনেক রোগী প্রাণে বেঁচে যেত।

অতএব, মহোদয় এর নিকট আকুল আবেদন,আপনি চকরিয়া-পেকুয়াবাসীর একমাত্র অভিভাবক হিসেবে আমাদের মৌলিক চাহিদা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত না করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম,সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার সহ যথাযথ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করার জন্য মহোদয়ের নিকট বিনীত অনুরোধ করছি। 

নিবেদকঃ
চকরিয়া-পেকুয়ার জনসাধারণের পক্ষে
নাছির উদ্দীন,
হারবাং, চকরিয়া, কক্সবাজার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ