ইউএনওর মাথার খুলি ভেঙে গেছে, বিদেশ নেয়া অসম্ভব

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ দিনাজপুরঃ
দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের অবস্থা সংকটাপন্ন। তার মাথার খুলি ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। তাকে এখনই উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশও নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলম।

তিনি জানান, ওই ইউএনওকে রংপুর থেকে সিএমএইচএ নেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে আমাদের হাসপাতালে আনার কথা রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন।

এ দিকে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব জানান, দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিটে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট  থেকে একটি হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়ছে।

এর আগে বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে সরকারি বাসভবনে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার মুক্তিযোদ্ধা বাবা ওমর আলী শেখকে কুপিয়ে আহত করে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার ভোরে তাদের উদ্ধার করে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে গুরুতর আহত ইউএনওকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। 

ইউএনও ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রাজকুমার নাথ জানিয়েছেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের মাথার বাঁ পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। যেটি অত্যন্ত গুরুতর। তিনি অচেতন অবস্থায় আছেন। তিনি সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন। দ্রুত তার বড় ধরনের অপারেশন প্রয়োজন। তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

দুর্বৃত্তদের হামলার বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, বুধবার রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মই বেয়ে ইউএনওর সরকারি বাসায় প্রবেশ করে এবং ইউএনওকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। মেয়ের চিৎকার শুনে তার বাবা ছুটে এসে মেয়েকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা তাকেও কুপিয়ে জখম করে। পরে পাশের কোয়ার্টারের বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। 

তাৎক্ষণিকভাবে রাতেই বাবা-মেয়েকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান ওসি আমিরুল। 

হামলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক জানান, প্রাথমিকভাবে তারা ধারণা করছেন, হত্যার উদ্দেশ্যেই ইউএনও ওয়াহিদার ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ