অবৈধভাবে নিয়োগ জলঢাকার নেকবক্ত দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে

মোঃ সাদিক-উর রহমান শাহ্ (স্কলার) রংপুর ব্যুরোঃ
গত বছরের নিয়োগ পরিক্ষা এখন করোনা মুহূর্তে নেয়া হলো, এটা বুঝতে পারিনি "। কথা গুলো বললেন, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক।  

আজ ৭জুলাই বিকেলে নীলফামারী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউর রহমানের অফিস কক্ষে এই নিয়োগ পরিক্ষা হয়।  জলঢাকা ডাউয়া বাড়ি ইউনিয়নের নেকবক্ত দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মুকুল দুই প্রার্থীর নিকট লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে, এই নিয়োগ পিছিয়ে, মাসা ধিক সময় অতিবাহিত করেন।  

আজ হটাৎ করে লুকিয়ে, সেক্টর ইনভেস্টমেন্ট প্রজেক্ট প্রকল্পের অর্থায়নে একটি ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টসহ ও একটি জেনারেল ইলেকট্রিক্যাল ল্যাবঅ্যাসিস্ট্যান্ট পদে নাটকীয় পরিক্ষা হয়, যেখানে পরিক্ষা সেখানে ফলাফল।  

ডিজি প্রতিনিধি, নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, " আমাকে ডেকেছেন, আমি এসেছি, কালকে আপনাদের সাথে কথা বলবো "বলে তিনি সটকে পড়েন। 

এবিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুকুল কে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন, আমি কিছু বলতে পারবোনা, কিছু জনকে কে চা খাওয়ার টাকা দিয়েছি, আপনাদের কিছু করার থাকলে করেন। 

জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক পুনরায় বলেন,"২০১৯সালের নিয়োগ পরিক্ষা, আজকে হলো, দুইটি পদে ৪জন করে ৮জন প্রার্থীর মধ্যে লিখিত পরিক্ষা হয়"। 

ওনাকে পরিক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সদুত্তর দিতে পারেনি এই নীলফামারী জেলার হ্যান্ডসাম শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক।।  জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়ার্ড সভাপতি বলেন, "দূর্নীতির কারণে উনি আর চেয়ারম্যান হতে পারেনি, স্কুল কমিটির সভাপতি হওয়ার আগে থেকে এইসব কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত তিনি। 

যে দুজনের নিয়োগের সাজানো পরিক্ষা করলেন, তাদেরকে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়েছেন"।  এলাকার বাসিন্দারা জেলা শিক্ষা অফিসার এবং জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন জানাচ্ছে, অনতিবিলম্বে এই নিয়োগ পরিক্ষা বাতিল করতে, সুদৃষ্টি কামনা করছেন।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ