সুন্দরগঞ্জে ধর্ষক স্কুল শিক্ষক ইউনুস আলীকে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

আঃ মতিন সরকার, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গৃহকর্মী ও আপন চাচাতো ভাতিজিকে ধর্ষণকারী গাইবান্ধা সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ইউনুস আলীকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবীতে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার ও সচেতন এলাকাবাসী।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌর শহরের কাঁঠালতলী মোড়ে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন নদী বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা ছাদেকুল ইসলাম দুলাল, 

আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল, বাসদ (মার্কসবাদী) উপজেলা আহ্বায়ক বীরেন চন্দ্র শীল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের জেলা সংগঠক শামীম আরা মিনা, নির্যাতিতার বাবা, মা, শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুমন বসুনিয়া প্রমূখ। 

বক্তাগণ অবিলম্বে তদন্ত সাপেক্ষে ধর্ষণকারী শিক্ষক ইউনুস আলীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবী জানান। 
 

উল্লেখ্য গৃহকর্মীকে  পড়াশোনা করাসহ বিয়ে দেয়ার কথা বলে গাইবান্ধা জেলা শহরের বাসায় নিয়ে গিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক মোঃ ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কিশোরীর দাদী। 

শিক্ষক ইউনুস আলী সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নের নওহাটী চাচীয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। ধর্ষিতা ওই কিশোরী শিক্ষক ইউনুস আলীর আপন চাচাতো ভাইয়ের মেয়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলে ওই শিক্ষক বাসাতেই থাকতেন। 

সময় থেকে পরিবারের সদস্যদের আড়ালে কিশোরীর শরীর স্পর্শসহ মোবাইলে ও কম্পিউটারে পর্ণ ভিডিও দেখাতেন। একদিন বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে ওই কিশোরীকে গোসল করার সময় বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। 

তারপর থেকে সবার অজান্তেই নিয়মিত ধর্ষণ করতেন ইউনুস আলী। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে না জানাতে কোরআন শরীফ, জায়নামাজ ও মাথা ছুঁইয়ে শপথ করান ওই শিক্ষক। গ্রামের বাড়ীতেও যেতে দেননি গৃহকর্মীকে। 

এরপর ওই শিক্ষকের স্ত্রী কিশোরীকে ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে ইউনুস আলীকে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন ও কিশোরীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে সবকিছু জানায় ওই কিশোরী। 

এরপর জানাজানি হলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুক্তভোগী পরিবারটিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখায় অভিযুক্তের পরিবার। এতে কাজ না হওয়ায় নানা মাধ্যমে হুমকি দেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর দাদী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে দেয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ