জান্নাত পরিবহন আটককে দেওয়ায় পলাশবাড়ীতে রাস্তায় বেরিকেট

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ  
গাইবান্ধার তুলসিঘাট এলাকায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগে জান্নাত পরিবহন আটক করে পুলিশের পক্ষ হতে চাঁদা দাবী করা হয়েছে । 

মর্মে এমন দাবী তুলে এর প্রতিবাদে ১৭ জুন বুধবার দিবাগত রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটের সময় গাইবান্ধা জেলা বাস মিনিবাস কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সোবাহান বিচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লবের নেতৃত্বে পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়ক দুই পাশে দুটি কোচ মাঝামাঝি রেখে অবরোধ করে সংগঠনটির বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।   


এসময় পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান থানার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে  সড়কের বেরিকেট সরিয়ে রাস্তা ক্লিয়ার করতে বলেন, এর উত্তরে শ্রমিক নেতা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার বিপ্লব বলেন, 


আমার গাড়ী ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত রাস্তায় বেরিকেট থাকবে এমন উত্তরে ওসি মাসুদুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব কে শুয়ারের বাচ্চা বলে গালি দিয়ে গুলি করার কথা বললে সাথে সাথে উপস্থিত  উত্তেজিত শ্রমিকদের মাঝে আরো উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়। 

এরপর ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, কোন ঘটনা ঘটে থাকলে সেটা অফিসিয়াল  ভাবে বসে সমাধান করা হবে রাস্তায় বেরিকেট দেওয়া কোন সুযোগ নেই রাস্তা এখন ক্লিয়ার হবে রাস্তার উপর কেউ দাড়াতে পারবে না। 

এরপর আস্তে আস্তে থানা পুলিশের সদস্যরা কঠোর অবস্থান নিলে পরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।  সরেজমিন তথ্যানুসন্ধান, পুলিশ ,ডি এসবি  শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায় , 

প্রতিদিনের ন্যায় স্বাস্থ্য বিধি মেনে গাইবান্ধা থেকে ঢাকা গামী জান্নাত পরিবহনের একটি বাস  যাত্রী নিয়ে বুধবার রাত ১০ টার দিকে গাইবান্ধা থেকে রওয়ানা দিলে তুলশিঘাট নামক স্থানে পৌছিলে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ চেকপোষ্টে বাসটি আটক করে। 


এসময় পুলিশ গাড়ীর কাগজ পত্র যাচাই করে সঠিকতা থাকলে ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের মিথ্যা অভিযোগ এনে ২ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে গাড়ীটি আটক করে রাখে বলে জানান শ্রমিকরা । 

জান্নাত পরিবহন চাঁদার দাবি করে আটক করেছে পুলিশ ! এই খবর দ্রুত পলাশবাড়ীতে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা পলাশবাড়ী-গাইবান্ধা সড়ক অবরোধ করে রাখে।

খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান মাসুদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত না করে মারমুখী ভুমকিায় অবতীর্ণ হলে শ্রমিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় !  


এসময়  থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদার রহমান রাস্তায় বেরিকেটের সৃষ্টির চেষ্টা করলে প্রকাশ্যে শ্রমিকদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক আশরাফুল ইসলামসহ শ্রমিক নেতারা জানান। 

এসময় ওসির গানম্যান আব্দুল মোমিন শ্রমিক নেতাদের উপর লাঠিচার্জ করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয় সাংবাদিকরা পুলিশ ও শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির বিষয়টি নিয়ে সমঝোতার কথা বললে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এবিষয়ে শ্রমিকনেতা আব্দুস সোবহান বিচ্চু ও গোলাম সরোয়ার প্রধান বিপ্লব জানান, পুলিশ উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত না করে তাদের সামনে আমাকে শুয়ারের বাচ্চা বলে গালি দেয় ও প্রকাশ্যে গুলি করে মারার নির্দেশ দেয় কি ভাবে ! 


আমরা ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই ওসির অপসারন চাই।  থানার অফিসার ইননচার্জ মাসুদার রহমান সাংবাদিকদের জানান, সমস্যা হলে অফিসিয়াল ভাবে আলাপ আলোচনা হবে। কিন্তু যখন তখন রাস্তা অবরোধ করে অরাজকতা সৃষ্টিকারী কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ