শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবিতে গাইবান্ধায় ছাত্রদলের স্মারকলিপি প্রদান

আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধাঃ 
করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল গাইবান্ধা জেলা শাখা গতকাল রোববার জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

স্মারকলিপি প্রদান কালেন উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল জেলা সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া আলম জীম, সাধারণ সম্পাদক মো. তারেকুজ্জামান তারেক, সিনিয়র সহ-সভাপতি রাজিউল আলম রনি, সহ- সভাপতি মো. মাহমুদুর রহমান রতন, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইমাম হাসান আলাল, আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. মুরাদ হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাওন প্রমুখ। 

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদল সবসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে সোচ্ছার। করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় ২ (দুই) মাসের অধিক সময় ধরে গাইবান্ধার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। 

শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও লক ডাউনের কারণে স্থবির হয়ে আছে বিশ্ব অর্থনীতি। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বেতনসহ পড়াশুনার খরচ চালানো তাদের অভিভাবকদের জন্য অত্যান্ত কষ্টকর। 

তাই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি সদয় হয়ে গাইবান্ধার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীদের বেতনাদি মওকুফ করে দিলে তা হবে মানবতার জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। 

সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে টেলিভিশন, অনলাইনে কিছুটা কার্যক্রম চালু থাকলেও সেটি সবার কাছে পৌঁছাচ্ছে না। এক জরিপে দেখাগেছে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনলাইন ক্লাস চালানো সম্ভব নয়। 

এমনকি বেসরকারি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনেক শিক্ষার্থীও অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার সাথে অসংগতি জানিয়েছে। এটির অন্যতম কারণ পাবালিক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক তৃতীয়াং শিক্ষার্থী অর্থনৈতিভাবে অসচ্ছল পরিবার থেকে আসে। 

বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে আছে। তাদের অনেকেরই স্মার্ট ফোন, ইন্টেরনেট ডাটা ক্রয়ের সামর্থ নেই। এর উপর অনেক এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থী টিউশনি করে শিক্ষার ব্যয় নির্বাহ করে, সেটাও করোনা মহামারির কারণে সম্ভব হচ্ছে না। 

ইন্টারনেটের উচ্চ মূল্য, মূল্যবান ডিভাইস ক্রয় করাও অনেক শিক্ষার্থীদের পক্ষে অসম্ভব। এর উপর অনেক স্থানে নিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস বা পড়াশুনা অব্যাহত রাখা একবারেই অসম্ভব। 

তাই সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজে এই মুহূর্তে অনলাইন ভিত্তিক ক্লাস, ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত রাখার জন্য আপনার নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। এই সঙ্গে করোনা মহামারির বর্তমান পরিস্থিতিতে যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি রাজস্ব থেকে বেতন পায় না এবং ঐসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক/কর্মচারীদের বেতন-ভাতা শিক্ষার্থীদের বেতনের উপর নির্ভরশীল। 

সেসব প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ঘাটতি সরকারি তহবিল থেকে পূরণের জন্য জোর দাবি জানান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ