মিজানুর
রহমান মিলন স্টাফ রিপোর্টার : বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণে একধাপ এগিয়ে গেল মেধাবি তাহমিদুজ্জামান তাহমিদ। সে এবার দিনাজপুর
জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ওই ফলাফল অর্জন
করে। তাহমিদ দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান মনির ও আদর্শ গৃহিনী
সুলতানা পারভিনের কনিষ্ঠ পুত্র। তাঁর একমাত্র বড়ভাই প্রকৌশলী মো. কাওছারুজ্জামান ঢাকায় প্রটোনিক্স লিমিটেড নামে একটি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। মেধাবি
তাহমিদ জানায়, পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করতে হলে নিজের পরিশ্রমই যথেষ্ট। সে জানায় প্রিয়
ব্যক্তিত্ব পিতা মনিরুজ্জামানের চাকুরির সুবাদে বিরামপুরে অবস্থান করলেও পড়াশোনায় তাঁর কোন ঘাটতি ছিলনা। বিরামপুর থেকেই সে নিয়মিত দিনাজপুর
জেলা স্কুলে যাতায়াত করতো। স্কুলের কার্যক্রম শেষে বাসায় সে প্রতিদিন সকাল
বিকাল ২/৩ ঘন্টা
পড়তো। বাড়তি কোন চাপ ছিলনা তাঁর। শুধু প্রতিটি প্রশ্ন মুখস্থ করে খাতায় লিখে রাখত। মাঝে মাঝে ওইসব প্রশ্নের উত্তর একনজর দেখে নিত সে। অবসরে বেড়ানো পছন্দ করা তাহমিদ জানায় তাঁর এ সাফল্যে বাবা
ও মায়ের অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশী কাজে দিয়েছে। তাদের দেয়া পুরো স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে গেছে সে। এক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তাহমিদ জানায় বড়ভাই প্রকৌশলী কাওছারুজ্জামান বন্ধু হয়ে পড়াশোনায় সহযোগিতা করেছেন সার্বক্ষণিক। পরিবারের সকলের আন্তরিক সহযোগিতার কারনেই সে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট
পাবলিক স্কুল ও কলেজ থেকে
পিইসি ও দিনাজপুর জেলা
স্কুল থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উভয় পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জণ করে।
ভবিষ্যতে সে তাঁর বড়
ভাইয়ের মত প্রকৌশলী হয়ে
দেশ সেবায় অংশ নিতে চায়। তাহমিদ তাঁর ভবিষ্যৎ সাফল্যের জন্য বাবা মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে সকলের দোয়া চেয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ