মো. আবু নাঈম, পঞ্চগড়: প্রতি বছর ঈদ এলেই ব্যস্ততা বাড়ে কাপড় বাজারের ব্যবসায়ীদের। খুচড়া, পাইকারী ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম থাকে পুরো বাজার। তবে এবার আসন্ন ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে এর কিছুই নেই পঞ্চগড়ের বস্ত্র মার্কেট গুলোতে। অন্যান্য বছরের মত জমজমাট কিছু নেই। সর্বত্রই ফাঁকা আর সুনসান নিরবতা। এতে ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গত ১৭ এপ্রিল থেকে পঞ্চগড় জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলার অনুমতি থাকলেও বঞ্চিত থাকছেন এই বস্ত্রালয় গুলো। ভালো নেই দোকানের কর্মচারীরাও। ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে এক থেকে দুই মাস আগেই ধার দেনা করে বিনিয়োগ করেছেন তাঁরা। চলমান পরিস্থিতিতে এখন বিক্রি করতে পারছেন না কোন পণ্য। ঈদ-উৎসব পার হলে পণ্যগুলোর চাহিদাও থাকবে না। এতে জেলার সহস্রাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীকে বইতে হবে লোকশানের বোঝা। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা এই ব্যবসায়ীরা পাবে কি না তা নিয়েও দুশ্চিন্তা। জেলা শহরের বাবলা হোসিয়ারী এন্ড গার্মেন্টস এর স্বত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন বাবলা বলেন, উৎসব ঘিরে একমাস কাপড়ের ব্যবসা করবো বাকী ১১ মাস ঘর ভাড়া আর কর্মচারীর বেতন দিয়ে সংসার চালাবো। অথচ, এবছর ঈদ-উৎসবে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এদিকে ব্যবসা বন্ধ থাকলেও দিতে হচ্ছে দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন। বস্ত্র বিতানে কর্মরত আমিরুল ইসলাম নামের এক কর্মচারী বলেন, করোনায় একমাস থেকে দোকান বন্ধ, বেঁচাকেনা নেই। মালিক পক্ষ বেতন দিবে বলে মনে হয় না। আর বেতন না পেলে পরিবার নিয়ে আসন্ন ঈদে হিমশিম খেতে হবে। পঞ্চগড় বস্ত্র ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন, অন্যান্য দোকানের ন্যায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সরকার যদি আমাদেরকেও কোথাও দোকান করার জন্য সুযোগ করে দেয় তাহলে হয়ত লোকসানের বোঝাটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
0 মন্তব্যসমূহ