বাম্পার ফলনেও হতাশার ছাপ কুড়িগ্রামের করলা চাষীদের মুখে


মোঃ মাসুদ রানা কুড়িগ্রামঃ 
কুড়িগ্রামে এ বছর করলার বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরেছে করলা। নিয়মিত পরিচর্যা করে প্রত্যাশার করলার ক্ষেত ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষীরা। এখন পর্যন্ত করলা ক্ষেতের কোন ক্ষতি না হলেও চলমান করোনার ভাইরাস পরিস্থিতির কারনে ভাটা পড়েছে অাশানুরুপ মূল্যে। তাই করলার ভালো দাম না পাওয়ায় হতাশার ছাপ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চাষিদের মুখে। চাষীরা জানায়, এক বিঘা জমিতে করলা চাষে সর্বমোট ব্যয় হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে করলা উৎপাদন হয় ৫০-৬০ মণ। গতবার এই সময়ে করলা বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হয়েছে ১০০০-১২০০ টাকা। এবার করোনা ভাইরাসের কারণে প্রতি মণ করলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে। কুড়িগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় করলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, ২১৫ হেক্টর জমি। তবে আবাদ হয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে।কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের চৈতের খামার গ্রামের করলা চাষী ছামাদ আলী জানান, এক বিঘা জমিতে করলা চাষে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। করলা উৎপাদন হবে ৫০-৬০ মণ। গতবার এই সময় করলা বাজারে বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ১২০০-১৪০০ টাকা দরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে। এই দামে বিক্রি করে তো আমার খরচেই উঠবে না লাভ তো দূরের কথা আসলেই উঠবে না। তাই অামরা হতাশ। বলার কিছুই নাই  আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো এটাই হচ্ছে কথা। একই গ্রামের আরেক করলা চাষী আব্দুল কাদের বলেন, এ বছর করলার ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে বাজারে করলার ভালো দাম নাই। আগের মতো দাম থাকলে খরচ উঠেও  লাভবান। কিন্তু এবার ক্ষতির মুখ দেখা ছাড়া কিছুই হবে না। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করতে না পারায় করলার দাম কম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ