জালালা উদ্দিন, গুরুদাসপুর
(নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের
গুরুদাসপুর উপজেলার
চাপিলা ইউনিয়নের
মহারাজপুর গ্রামকে
করোনা ভাইরাস
থেকে নিরাপদ
রাখতে ওই
গ্রামের হেল্পপিং
সোসাইটির সদস্যরা
নিজেরাই পুরোপুরি
লকডাউন ঘোষনা
করেছে। তবে
এই কাজের
নেতৃত্বে আছেন
হেল্পপিং সোসাইটির
সভাপতি মো.
নেওয়াজ বিশ^াস,
সাবেক কল্লোল
ফাউন্ডেশনের সভাপতি
সমাজ সেবক
অধ্যক্ষ মুক্তাদিরুল
ইসলাম মিন্টু
বিশ^াস,
ব্যবসায়ী জাকির
হোসেন প্রমুখ।
এসময়
গ্রামটির চারটি
প্রবেশ পথে
বাঁশ দিয়ে
ব্যারিকেড দিয়ে
রাখা হয়েছে
এছাড়া গ্রামে
অন্য এলাকার
কাউকে ঢুকতেও
দেওয়া হচ্ছে
না।
বুধবার
(৮ এপ্রিল)
সকালে নিজ
গ্রামের মানুষদের
নিরাপদ আশ্রয়ে
রাখতে নিজেরাই
পুরোপুরি নকডাউন
ঘোষনা করেন।
আগামী ১৫দিন
এর আওতায়
থাকবে গ্রামটি।
সরেজমিনে
গিয়ে দেখা
যায়, গ্রামের
চারটি প্রবেশ
পথে বাঁশ
দিয়ে ব্যারিকেড
দিয়ে লাল
নিশানা টানানো
হয়েছে। একইসঙ্গে
গ্রামজুড়ে জীবাণুনাশক
ওষুধ ছিটানোর
পাশাপাশি প্রবেশ
পথে রাখা
হয়েছে হ্যান্ড
স্যানিটাইজার। এছাড়া
গ্রামে অন্য
এলাকার কাউকে
প্রবেশ করতে
দেয়া হচ্ছে
না। তাছাড়া
যৌক্তিক কারণ
ছাড়া কাউকে
গ্রাম থেকে
বের হতে
দেওয়া হচ্ছে
না।
মহারাজপুর
গ্রামের মুক্তাদিরুল
ইসলাম মিন্টু
বিশ্বাস বলেন,
“বাইরে থেকে
অনেক লোকজন
আমাদের গ্রামে
এসে ঘোরাঘুরি
করে। গ্রামের
মানুষদের নিরাপদে
রাখতে চারটি
প্রবেশপথে বাঁশ
দিয়ে ঘিরে
দিয়েছি। পরিস্থিতি
স্বাভাবিক না
হওয়া পর্যন্ত
বাইরের কাউকে
গ্রামে ঢুকতে
দেবো না।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন ভুট্টু জানান, মহারাজপুর গ্রামের চার প্রবেশ পথ বৃ-পাথুরিয়া মোড়, পুরুলিয়া তিন রাস্তা এলাকা, শাহিবাজার ও রানী নগর রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে নিজ গ্রামকে নকডাউন ঘোষনা করায় ওই গ্রামের যুবকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা নিজে থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি করে নকডাউন ঘোষনা করেছেন। তিনি মনে করেন, সব গ্রামেই যুবকদের এমন ঘোষনা করা দরকার। কারন এই সময়টা কঠিন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও এই সময়টাকে অধিক গুরুত্ব দিতে বলেছেন।
0 মন্তব্যসমূহ