গুরুদাসপুরে কেউ কারও কথা শুনছে না

মো: জালাল উদ্দিন, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের গুরুদাসপুরে কেউ কারও কথা শুনছে না। সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের অব্যাহত প্রচার-প্রচারণা ও নিষেধাজ্ঞার পরও গণজমায়েত বন্ধ হচ্ছে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জনসাধারণ চলছে না।  প্রশাসনের হাট-বাজার বন্ধ রাখার নির্দেশও কেউ মানছে না। সব কিছু চলছে যেন ঠিক আগের মতই।
জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাহারুল ইসলাম, বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করতে বলছেন। পাশাপাশি মাইকিংসহ প্রচারপত্র বিতরণও করছেন। এত কড়াকড়ির পরও জনসমাগম কমছে না। উপজেলার প্রতিটি রসুন হাট, মাছ বাজার ও কাঁচাবাজারগুলোতে সেই পুরনো চিত্র দেখা গেছে।
সূত্রমতে, করোনাভাইরাসের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে এবং জনসমাগম না করতে নির্দেশনা প্রদান করেন। তবে ওষুধ ও নিত্যপণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়। এ ছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজনকে বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু এসব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে যেসব লোক গ্রামে এসেছে তাদের নিয়ে সবাই আতঙ্কিত। কার সংস্পর্শে কখন কে আক্রান্ত হয়ে যায়। তা বলা যায় না। কারণ অনেকেই ঘরের বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক চায়ের দোকানদার ভেতরে লোক বসিয়ে সামনের দরজা বা ঝাঁপ আটকে রাখে। এসব দোকানে প্রতিদিন শতাধিক লোক যাতায়াত করছে।
বৃ-কাশো বাজারের রাশিদুল ইসলাম বলেন বলেন, সপ্তাহে নাজিরপুরে ও চাঁচকৈড়ে দুইটা হাট বসছে। গায়ের সঙ্গে গা ঘেঁষিয়ে রসুন বেচাকেনা করছে লোকজন। এলাকার বিভিন্ন চায়ের দোকানে আড্ডা হচ্ছে। নিষেধ করা হলেও কেউ কারও কথা শুনছেনা। যেন নিজেকে নিয়েই সবাই ব্যস্ত সময় পার করছে সবাই।
বিয়াঘাট ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতিদিনই শতশত লোক জমায়েত হচ্ছে। প্রশাসনের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ