মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুর প্রতিনিধিঃ সৈয়দপুরে শিশুপুত্রকে চড় থাপ্পড় মারায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার ঘটনায় স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রুমা(২৮) নামে দুই সন্তানের জননী। গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের শ্বাষকান্দর শাহাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। সে ওই এলাকার বাসিন্দা ও বেসরকারি সংস্থা আশা'র ডিমলা উপজেলা শাখার সহকারি ম্যানেজার মো.মশিউর রহমানের স্ত্রী। এঘটনায় রাতেই সৈয়দপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে থানায় নিয়ে আসেন। আজ সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতের লাশ নীলফামারী মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে। পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে এলাকাবাসি ও থানা পুলিশ জানায়,ওই এলাকার আ. বারি শাহের পুত্র বেসরকারি সংস্থা আশা'র ডিমলা শাখার সহকারি ম্যানেজার মশিউর রহমান স্ত্রী ও দুই পুত্র রফিকুল ইসলাম রেয়ন(৭) ও মোনাল মোরসালিন লোহানকে (২) নিয়ে গ্রামের বাসাতে বসবাস করতো। ঘটনার দিন গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় কোন কারণে গৃহবধু রুমা তার শিশুপুত্র লোহানকে চড় থাপ্পড় মারে। বিষয়টি জানতে পেরে স্বামী মশিউর স্ত্রী রুমাকে বকাঝকা করে। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী মশিউর তার স্ত্রী রুমাকে চড় থাপ্পড় মেরে কান্নারত শিশুপুত্র লোহানকে নিয়ে বাসার বাইরে চলে আসে।
এরই মাঝে স্বামীর ওপর অভিমান করে স্ত্রী রুমা সবার অজান্তে তার শোয়ার ঘরে খাটের ডাসায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগায়। কিছুক্ষণ পর আশেপাশের লোকজনের চিৎকারে স্বামী মশিউর ঘরে এসে দেখে তার স্ত্রী ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। সাথে সাথে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে মারা যায় দুই সন্তানের জননী রুমা। পরে মৃতের লাশ বাসায় নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন। রাতে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার উপ-
পরিদর্শক মো.আব্দুর রহিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মৃতের লাশ থানায় নিয়ে আসেন। আজ সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নীলফামারী মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হবিবর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন শিশুপুত্র লোহানকে নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে জেনেছি। আর এ কারণে স্বামীর ওপর অভিমান করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে রুমা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসনাত খান বলেন মৃত্যুর সঠিক কারন জানতে মৃতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে আসল ঘটনা।
0 মন্তব্য