ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে সাংবাদিক গোলাম মোস্তফার কিছু কথা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ  
দৈনিক ইত্তেফাকসহ প্রথম সারির বেশ কয়েকটি সংবাদ পত্রে “প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় ইতালি, লন্ডন, আমিরিকাসহ ৯ প্রবাসীর নাম” শিরনামে সংবাদ প্রকাশ ও বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোক্তার হোসেন মুক্তার করা সংবাদ সম্মেলন বিষয়ে কিছু কথা গণমাধ্যমকে বলেছেন সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা।

সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রথমত প্রকাশিত যে কোনো সংবাদ কারো কাছে বস্তুনিষ্ট মনে না হলে তিনি প্রতিবাদ জানাতে পারেন, সংবাদ সম্মেলনও করতেই পারেন। এমনকি আইনী সহায়তাও নিতে পারেন।

এদিকে একজন সাংবাদিক যখন কোনো সংবাদ লেখেন তখন সাংবাদিকতার নিয়মানুযায়ী তার যে সব ডকুমেন্টস ও কমেন্টস প্রয়োজন সেগুলো সংরক্ষণ করে থাকেন।

মোস্তফা আরো বলেন, এ চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন তাড়াশে। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনটি সংগঠন-ই তার সেই সংবাদ সম্মেলন বয়কট করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে তিনি সিরাজগঞ্জের কোথাও বসে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যদিও সেই খবর কোন পত্র পত্রিকায় প্রকাশ হতে আমি অন্তত দেখিনি।

তবে তিনি তার লিখিত বক্তব্যের হুবহু কপি ফেসবুকে পোষ্ট করেছেন। সেখানে তার মনগড়া অনেক কথা মাঝে আমার স্বভাব চরিত্র নিয়েও কথা বলেছেন। সেই সর্ম্পকে শুধু এই টুকোই বলার, স্বভাবে আমি একজন প্রতিবাদী নির্ভীক সাংবাদিক।

আর চরিত্রগত দিক থেকে কারো কারো কাছে ফুলের মতো পবিত্র। আবার আপনার মতো কারো কারো কাছে মহা অপবিত্র। তবে এ পর্যন্ত বহুবার চেষ্টা করে একবারও আমাকে কেউ অপবিত্র প্রমাণ করতে পারেনি। বরং বারবার আমি জিতে গেছি। আর সেটা আপনি ভালো করেই জানেন। একই সাথে আপনার মতো অন্যরাও জানেন।

আর সামাজিক মর্যাদার কথা বলছেন, এ ক্ষেত্রেও আমি শুধু বলবো, আমি সামাজিকভাবে একজন প্রসিদ্ধ মানুষের সন্তান। যিনি একাধারে আশির দশকে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী তাড়াশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও দ্বিতীয় সভাপতি। বর্তমানে তাড়াশ থেকে প্রকাশিত একমাত্র সরকারি রেজিষ্ট্রেশনভুক্ত সাপ্তাহিক চলনবিল বার্তা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। একই সাথে একটি স্বনামধন্য বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার পরিচালকও বটে (আব্দুর রাজ্জাক রাজু)।

যিনি সারা জীবন কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেও খুব সাধারণ মানুষের কাতারেই রয়ে গেছেন আজও। আর তার সন্তান হিসেবে আমি নিজেও। কিন্তু আপনি কোথা থেকে কোথায় উঠে এসেছেন সেটা কি একবারও ভেবে দেখেছেন?

আরও কিছু কথা না বললেই নয়, ওই সংবাদটি শুধু ইত্তেফাকেই নয়, কালের কণ্ঠ, সমকাল, জন কণ্ঠ, আমাদের সময়, করতোয়া, খোলা কাগজ, ঢাকা টাইমস, কলম সৈনিক, যুগের কথা, যমুনা প্রবাহসহ আরও বেশকিছু অনলাইন পত্রিকায় যথেষ্ট গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছে। অথচ আপনি সংবাদ সম্মেলন করলেন শুধু আমার বিরুদ্ধে। সেটাই বা কতটা যোক্তিক?

আর মিথ্যাচারের কথা বলছেন, ওই দিন আমার মোবাইলের কললিস্ট দেখলেই বোঝা যাবে সংবাদ প্রকাশের পর কে আমাকে কল দিয়েছিলেন?

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ