গুরুদাসপুর
(নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের
গুরুদাসপুরে ফসলি
জমিতে অবৈধ
পুকুর খননের
বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর
প্রতিবাদ, কৃষকের
জমি দখল
করে পুকুর
খনন করার
অভিযোগ দায়ের
নিয়ে পত্রিকায়
সংবাদ প্রকাশের
পর বিষয়টি
সাংসদ আব্দুল
কুদ্দুসের নজরে
আসে। সরকারি
নীতিমালা লঙ্ঘন
করে ফসলি
জমিতে পুকুর
খনন চলছিলই।
অবশেষে কৃষি
জমি রক্ষায়
স্থানীয় প্রশাসনের
পাশাপাশি নিজেই
মাঠে নেমেছে
স্বয়ং নাটোর
৪ আসনের
সাংসদ অধ্যাপক
আব্দুল কুদ্দুস।
রবিবার
সকালে বের
হয়ে সারাদিন
ব্যাপী উপজেলার
ধারাবারিষা, চাপিলা
ও বিয়াঘাট
ইউনিয়নের ১৬টি
পুকুর খনন
বন্ধ করেন
তিনি। এসময়
খনন কাজের
গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি
নিজে দাঁড়িয়ে
থেকে ধবংস
করেন।
ওই
সময় স্থানীয়রা
জানান, এক
শ্রেনীর দালার
চক্র মাটি
বিক্রি করে
লাভবান হওয়ার
আশায় জমি
মালিকদের ভুলভাল
বুঝিয়ে চুক্তিতে
পুকুর খনন
করে দিচ্ছেন।
দালালচক্রের কিছু
সদস্য মোবাইল
ফোনে জানান,
সব কিছু
ম্যানেজ করে
পুকুর খনন
করা হচ্ছে।
এর মধ্যে
এমপি সাহেব
এসে ঝামেলা
করেছে। তবে
বেশিদিন থেমে
থাকবেনা। আবার
চালু করা
হবে।
উপজেলা
কৃষি কর্মকর্তা
আব্দুল করিম
জানান, মাছ
চাষ লাভজনক
হওয়ায় পুকুর
খননের প্রবণতা
বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফলে পুকুর
খননে ঝুকেছে
এলাকার কৃষক।
গত তিন
বছরে প্রায়
সাড়ে ৯শ’
হেক্টোর জমিতে
পুকুর খনন
করা হয়েছে।
এভাবে পুকুর
খনন চলতে
থাকলে দেশ
খাদ্য ঘাটতিতে
পড়বে।
স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে করোনা ভাইরাসের সুযোগ নিয়ে এক শ্রেনীর অসৎ মাটি ব্যবসায়ীরা পুকুর খনন কাজ করছে। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে হাজার হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। দেশে খাদ্য ঘাটতি প্রকট আকারে দেখা দিবে। দেশ হয়ে উঠবে পরনির্ভর। কোনভাবেই পুকুর খনন করতে দেওয়া হবে না।
0 মন্তব্যসমূহ