করোনা আতংকে নীলফামারী উত্তরা ইপিজেটের ৩৫ হাজার শ্রমিক


ব্যুরো অফিস রংপুরঃ  বিশ্ব মহামারী করোনা ভাইরাসে আতংকে সংকিত হয়ে পড়েছে নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা উত্তরা ইপিজেটের প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে সবচেয়ে রেশি আতংকিত হয়ে পড়েছে চায়না নিয়ন্ত্রিত চারটি কোম্পানির প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। এভারগ্রীন প্রডাক্ট ফ্যাক্টরী বিডি লিঃ, মাজিন বিডি লিঃ, সনিক বাংলাদেশ লিঃ ভ্যানচুরা লেদার অয়্যার বিডি লিঃ ৪২৬ জন চায়না নাগরিক কর্মরত রয়েছে। এদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনে  রয়েছে জন। উত্তরা ইপিজেটে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৩১ ফ্যাক্টরির মধ্যে ২২ ফ্যাক্টরি চালু রয়েছে। শ্রমিকদের পাশাপাশি ইপিজেট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, এই করোনা মহামারী প্রথম চীন দেশে শুরু হওয়ায় এবং এই ইপিজেটে চীনা নাগরিক থাকায় আমরা বেশি আতংকিত। নাম না বলা সর্তে একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা গরীব মানুষ, পেটের দ্বায়ে চাকরি করছি হঠাৎ করোনা মহামারী শুরু হওয়ায় চিন্তিত্ব। শোনা য়াচ্ছে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে সব কর্মস্থল বন্ধ ঘোষনা করেছে সরকার।




আমরা বন্ধ চাইনা, আমরা কাজ চাই। কারন ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে আমাদের অসহায় জীবনযাপন করতে হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন বাইরে থাকার চেয়ে ফ্যাক্টরির ভিতরেই নিরাপদ। বেপজা উত্তরা ইপিজেটের মহাব্যাবস্থাপক নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল ব্যবস্থা নিয়েছি। ফ্যাক্টরি বন্ধের বিষয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আজ মন্ত্রী পরিষদকে অবগত করা হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে সিদ্ধান্ত আসবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ