নীলফামারীতে নদী খননের বালু হরিলুট

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ- দেশের নদ-নদী রক্ষায় সরকার শতবর্ষী ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করায়, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ইতোমধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সারাদেশের ন্যায় নীলফামারীতেও নদী খনন কাজ শুরূ হয়েছে। নদী খনন কাজে সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ নদী খনন কাজের বালু অনুমোদন ছাড়াই নিয়ে যাচ্ছে এলাকার প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীরা। এতে রাস্তা চলাচলের চরম দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে তাদের। জেলার জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী বটতলা, সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়ন ও কিশোরগঞ্জের পুটিমারী ইউনিয়নের শালটিবাড়ী এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া চাড়ালকাটা নামের এই নদী। এই নদীটি নীলফামারী ও সৈয়দপুর পাউবোর অধীনে খনন কাজ শুরু হলেও চোখের সামনে হরিলুট হচ্ছে কোটি টাকার বালু ,যেন দেখার নেই কেউ। শনিবার (২১ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গেলে জানা যায়, কচুকাটা উত্তরপাড়ার মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান, টেংগনমারী কিশামত বটতলার মৃত. আব্দুল জব্বারের ছেলে মোঃ সাবু, আতিয়ার রহমানের ছেলে নাজমুল হোসেন, এছাড়াও ঐ এলাকার হাক্কুল, সবুজ ও শুভ নামের অসাধু ব্যবসায়ী, প্রতিদিন চাড়ালকাটা নদী খননের বালু, নদীর বাঁধ থেকে শতশত ট্রাক্টর ও ট্রলিতে নিয়ে যাচ্ছে। অপর দিকে কচুকাটা ব্রীজের দক্ষিনে বালার ডাঙ্গা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বালু বিক্রি করছে কচুকাটা বাজারের মেছের উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হানিফ। এসব বালু নদীর কাছেই গাড়ী প্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, এবং যারা নিয়ে যাচ্ছে তারা বিক্রি করছে ৮০০ থেকে ১২ শত টাকা। অথচ নদীর খননকৃত এই বালু দিয়ে দুই ধারে বাঁধ বাধার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। রাতারাতী বালু বিক্রি করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছো বণে যাচ্ছে অনেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ নদী খননের বালু যাঁরা হরিলুট করে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন নিচ্ছেনা প্রশাসন। তবে এ দ্বায় নিতে চাচ্ছে না কেউ। নদী খননের সাফ-ঠিকাদার মনোরঞ্জন রায় বলেন, আমি কঠোর ভাবে দেখাশুনা করছি , চোখের আড়ালে কেউ নিলে আমার করার কিছুই নেই। তবে আপনারা (সাংবাদিক) রিপোর্ট করেন। প্রশাসন যদি বালু মহল আইনে টেন্ডার দেন তাহলে সরকার রাজস্ব পাবে। সরেজমিনে সৈয়দপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়ার্ক এসিট্রেন আশরাফুল আলম বলছেন, নদীর খননকৃত বালু অনুমোদন ছাড়া কিংবা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা ব্যতিত কেউ নিয়ে যেতে পারবে না। ইতিমধ্যে আমরা সদর থানা, জলঢাকা থানা ও কিশোরগঞ্জ থানায় কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। তারপরেও  যদি কেউ নদীর খননকৃত বালু নিয়ে যায় সেটা সর্ম্পূন্ন অবৈধ হবে। নীলফামারী পাউবোর এসডি আমিনুর রহমান বলেন, আমি এখন দায়িতে¦ নাই, তারপরও দেখতেছি। জলঢাকা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) গোলাম ফেরদৌস মুঠো ফোনে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিতে পারি। তারপরও স্থানীয় গ্রামপুলিশদের বলা আছে কেউ বালু নিয়ে গেলে আটক রেখে জানাবে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এলিনা আক্তার মুঠো ফোনে জানান, এটাতো পানি উন্নয়ন কতৃপক্ষর ব্যাপার, তাদের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ