এম/এন আলমঃ
ভাগ্যের পেছনে আছে বিধাতা, একেই বলে সোনায় সোহাগা। মহেশখালীর কালারমারছড়ার ছরা খাতুনরা প্রকৃত ওয়ারিশ হয়েও যেমন অধিগ্রহণ অফিস ও দালাল চক্রের কারসাজিতে অধিগ্রহণের টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অন্যদিকে টেকনাফের পেঠান আলী ও নবী হোসেন গংরা তাদের ওয়ারিশভুক্ত জমি অন্যকে বিক্রয় করে দিয়েও অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ কিন্তু তাদের ভাগ্যেই জুটেছে। এমনই একটি ঘটনায় এখন তোলপাড় সীমান্তের টেকনাফের নোয়াখালী পাড়া।
কক্সবাজার জেলায় সরকারের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প চলমান। মহেশখালীতে তাপ ও কয়লা বিদ্যুৎ, গ্যাস সহ গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। তারই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ উপজেলায়ও মেরিন ড্রাইভের কাজ চলছে। একই সাথে সরকারের এসব প্রকল্প দ্রুত গতিতে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ভূমি অধিগ্রহণও এগিয়ে যাচ্ছে সমান তালে। হাজার হাজার কোটি টাকার এসব প্রকল্পকে ঘিরে কক্সবাজারে সক্রিয় রয়েছে একটি
দুর্নীতিবাজ চক্র। তারা অধিকগ্রহণ অফিসের অসাধু সার্ভেয়ারদের যোগসাজশে খতিয়ান, পর্চা ও দলিল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া ওয়ারিশ সাজিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ২০১০ সালে টেকনাফের নোয়াখালী পাড়ার পেঠান আলী ও মৃত আমিরদ্বয়ের ওয়ারিশ গং ছৈয়দ আহম্মদ, নবী হোসেন, গোল বাহার, রহিমা খাতুন, রম বাহার ও গোল মেহের'দের কাছ থেকে ১৬৫৩নং দলিল মূলে মোট ৭৩ শতক জমি ক্রয় করে ছিলেন একই এলাকার বাসিন্দা মৃত হাজী আব্দুল গফুর এর পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম, মৃত কাজী আব্দুল হালীম এর পুত্র কাজী হাসিবুল আহসান (তন্ময়) ও মোঃ মোখলেসুর রহমানের পুত্র আমির হোসেন। ঐ দলিলের অনুকূলে ক্রয় সূত্রে মালিকরা ১২২৮ নং সৃজিত খতিয়ান করেন। তাদের কাছে জমি বিক্রয় পরও পূর্বের জমির মালিকরা বিক্রিত দলিল গোপন রেখে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভুমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার জালিয়াতি চক্রের যোগসাজশে অধিগ্রহণকৃত জমির প্রায় কোটি টাকা সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে উত্তোলন করার দুঃসাহস দেখান। এতে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্রয়সূত্রের মালিকরা তাদের ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন বলেন জানান।
ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, সরকারী অফিসের কিছু অসাধু হর্তাকর্তারা দুর্নীতিতে এতই বেপরোয়া কোন প্রকার যাচাই বাচাই ছাড়াই স্বার্থোদ্ধারে অধিগ্রহণকৃত জমির সরকারী ক্ষতিপূরণের টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত করছে প্রকৃত মালিকদের। এ জালিয়াতির কাজের জন্য দোষছে স্থানীয় তহসিলদার ও ভূমি অদিগ্রহণ শাখার সার্ভেয়ার, অফিস সহকারীসহ তাদের সহযোগী সিন্ডিকেট চক্রকে। জেলাব্যাপী সরকারের মহতি মেঘা প্রকল্পের অধিগ্রহণ কাজে দুর্নীতিবাজদের এরূপ কর্মকান্ডে বিপুল ক্ষতির শিকার হচ্ছে নিরীহ ভূমির মালিকরা। এই দুর্নীতিবাজ চক্রের ধারাবাহিক কর্মকাণ্ডে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণে কচ্ছপ গতির ভূমিকা নেয়ায় তারা আরো তাদের ঘাফলিং ফর্মুলায় অনিয়ম দুর্নীতি আরো ব্যাপৃত করছে। এইরূপ কাজে জড়িত হয়ে বিগত সময়ে একজন সাবেক ডিসি, আরডিসি সহ কয়েকজন সার্ভেয়ার জেল কাটলেও চক্রটি এখনো ঘাফটি মেরে বসে আছে। যার কারণে তাদের দুর্নীতি এখনো অধরা।
0 মন্তব্যসমূহ