সৈয়দপুরে অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা



নীলফামারী প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরের পল্লীতে জান্নাতুল ফেরদৌসী জান্নাতি (১৪) নামের অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার দুই নম্বর কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের পশ্চিম বেলপুকুর সাতপাই ডাঙ্গারবাড়ি গ্রমে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪টায় ওই আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে।  সৈয়দপুর থানা পুলিশ এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উল্লিখিত এলাকার দুলাল হোসেন। তিনি পেশায় একজন মৌসুমী ক্ষুদ্র ফল ব্যবসায়ী। মৌসুমী অনুযায়ী যে ফল হয় ওই ফলের ব্যবসা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবননির্বাহ করেন তিনি। তাঁর দুই মেয়ে এক ছেলে। বড় মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসী জান্নাতি বাড়ির পাশের সাতপাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকেলে তাঁর বাবা দুলাল হোসেন মা মালেকা বেগম একটি বেসরকারি ঋণদানকারি সংস্থা থেকে ঋণ উত্তোলন করতে গিয়েছিলেন। আর সময় বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে স্কুল ছাত্রী জান্নাতি তাদের বাড়িতে ঘরের মধ্যে ঢুকে ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সময় বাড়িতে থাকা তাঁর একমাত্র ছোট ভাই আশরাফুল ঘটনাটি বুঝতে পেরে চিৎকার চেঁচামেচি করে। পরে তাঁর বাবা-মা আশপাশের লোকজন দ্রæ ছুঁটে এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নামায়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে তাকে সৈয়দপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত. ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ হাসপাতালে পৌঁছে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ওই স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিবেশি এক ছেলের বিয়ে ঠিক করেন তাঁর বাবা-মা। আর ওই বাল্য বিয়েতে রাজি ছিল না সে (জান্নাতি) অভিভাবকরা তাকে জোর করে বাল্য বিয়ে নিতে চেয়েছিলেন। তবে এলাকার একটি সূত্র জানান, প্রতিবেশি এক ছেলের সঙ্গে জান্নাতির প্রেম সম্পর্ক গড়ে উঠে। অবস্থায় তাঁর বাবা-মা তার অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন। আগামী শুক্রবার ওই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তাঁর আগেই মনের ক্ষোভে অভিমানে নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান স্কুল ছাত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। স্কুল ছাত্রীর লাশের ময়না তদন্তের জন্য বুধবার (১৫ জানুয়ারি) নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ