বাগাতিপাড়ায় সেই নবজাতক ঠাঁই পেলো নিঃসন্তান দম্পতির বুকে / নাম দেওয়া হয়েছে "নূরজাহান"

ফজলে রাব্বি ,বাগাতিপাড়া (নাটোর)
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদীর তীরে থেকে উদ্ধার হওয়া সেই নবজাতক ঠাঁই পেলো এক নিঃসন্তান দম্পতি বুকে। এবং সেই দম্পতি মেয়ে নবজাতকে বুকে নিয়ে নাম দিয়েছেন "নূরজাহান" রোববার বিকালে বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের কার্যসহকারী বজলুর রশীদ গৃহিণী ফাহমিদা বেগম দম্পতি নবজাতককে হাসপাতাল থেকে নিজেদের বাড়ি উপজেলার চকগোয়াশ গ্রামে নিয়ে যান।ওই গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে বজলুর রশীদ। বজলুর রশীদ জানান, পরিচয়হীন নবজাতককে তিনি লালন-পালনের দায়িত্ব নিয়েছেন। এখন থেকে নিজের পরিচয়েই বড় করবেন এই কন্যা সন্তানকে। তিনি আরও জানান,উদ্ধারের পর থেকে চিকিৎসাধীন নবজাতকটিকে কোলে তুলে মায়ের যত্নে রেখেছেন তার স্ত্রী ফাহমিদা। ফাহমিদা বলেন আমি ১৯ বছর নিসন্তান ছিলাম নূরজাহানকে পেয়ে আমার সেই শূন্যতা পূর্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন (ফাহমিদা) আমার জন্য সৃষ্টিকর্তা নূরজাহানকে পাঠিয়েছেন, সে (নবজাতক, নূরজাহান) উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই আমার বুকে তুলে নিয়েছি। তবে ওই দম্পতি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, যদি নূরজাহানের সঠিক বৈধ অভিভাবকের সন্ধান মেলে তাহলে তাদের হাতে তাকে তুলে দেবেন। বিষয়ে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ আরেফিন জানান নবজাতকের নিউমোনিয়া হবার সম্ভাবনা ছিল তাই তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে সুস্থ তাই চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাকে ছাড়পত্র দিয়ে নিঃসন্তান দম্পতির দায়িত্বে দেয়া হয়েছে। সেই দম্পতি ছাড়পত্রে নবজাতকের বাবার নামের স্থলে তার নাম (বজলুর রশীদ) এবং মাতার স্থানে তার স্ত্রীর নাম (ফাহমিদা) লিখেছেন। বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মতিন বলেন, শনিবার দুপুরে কান্নার শব্দ পেয়ে নবজাতকটিকে দেখতে পেয়ে স্থানীয় যুবকরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বড়াল নদীর তীরে জংগলের ভিতর থেকে নবজাতকটিকে উদ্ধার করে বজলুর রশীদ ফাহমিদা নামে নিসন্তান দম্পতির মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর থেকে বেশকিছু নিঃসন্তান দম্পতি তার লালন-পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বর্তমানে শিশুটি ভালো আছে এবং ওই দম্পতির কাছে আছে। এবং আমার শিশুটির বৈধ অভিভাবকের সন্ধানে কাজ করছি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ