সী ফুড কক্সবাজারের শিল্প পর্যটকের অন্যতম আকর্ষণ

আব্দুল আলীম নোবেলঃ
কক্সবাজারে আসেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। সমুদ্র দেখার জন্য জীবনে একবার হলেও কক্সবাজার ভ্রমণ প্রয়োজন। কিন্তু শুধু যে সমুদ্রের জন্যই কক্সবাজার বিখ্যাত তা কিন্তু নয়। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান কক্সবাজার একই সাথে ভ্রমণ ও খাবারের জন্য পরিচিত। ভ্রমণ নিয়ে কথা হবে কিন্তু খাবার নিয়ে হবে না তা কি হয়? পেটের জন্যই তো এই জীবন আমাদের! আর জায়গাটা যদি হয় সমুদ্রের কাছে তাহলে তো একদম কথাই নেই। 'পরিকল্পিত বার্তা'র সাথে আলাপচারিতায় এমন কথা বলেন কক্সবাজারের কলাতলি সুগন্ধা সড়কস্থ চাইনিজ ফুড এন্ড রেস্টুরেন্ট এর স্বত্বাধিকারী এবং কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর সদস্য সরওয়ার আলম। বিশেষ করে খাবারের তালিকায় পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ ফিশ ফ্রাই (সী ফুড)। এটি একটি শিল্প এটিকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমরা যদি পর্যটকদের কাছে তাজা পরিষ্কার পরিচন্ন ফিশ ফ্রাই তুলে দিতে পারি সেটি আমাদের সুনাম। কক্সবাজার সহ দেশের যেকোনো পর্যটন স্থান এখন খাবারের দোকানের ছড়াছড়ি। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে বিভিন্ন স্থানে সামুদ্রিক খাবারের দোকান রয়েছে। সমুদ্রের বিভিন্ন মাছের আইটেম আকর্ষিত করে ভ্রমণরত মানুষদের। কক্সবাজার আসবেন কিন্তু লইট্টা ফ্রাই খাবেন না অসম্ভব ব্যাপার। যেকোনো রেস্টুরেন্টে গেলেই পাওয়া যাবে এটি। কিন্তু আপনি যদি লাইভ সি ফিশ ফ্রাই খেতে চান তাহলে সুগন্ধ বিচের আশেপাশে অবস্থানরত দোকান গুলোই বেশী ভালো। সেখানে আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো মাছ আপনার চোখের সামনেই ভেজে দিবে। এখানে পাওয়া যাবে, কাকড়া, টুনা, রূপচাঁদা, লইট্টা, কোরাল, চান্দা, লাল কোরাল, চেলমন ফিশ, সাদা কোরাল, কৈ কোরাল, সুরমা, ভেটকি কোরাল, কাইক্কা, সুন্দরী, আক্টোপাস ও স্কইট ইত্যাদি। 

কক্সবাজার রাতের বেলায় আরেক সৌন্দর্য ধারন করে। দেখে মনে হবে না ঘুমের দেশে চলে এসেছেন। এরই সাথে বসে নানাধরনের দোকান। শুঁটকি কেনার জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা হচ্ছে কক্সবাজার। যারা শুঁটকি খেতে পছন্দ করে তারা এখানে এসে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সবধরনের শুঁটকি পাওয়া যায় এখানে। লইটা শুঁটকি, রূপচাঁদা শুঁটকি, চেপা শুঁটকি, এমনকি ইলিশ মাছেরও শুঁটকি পাওয়া যাবে। যারা ভ্রমণ পিপাসু তারা একই সঙ্গে ভোজনরসিকও হয়। নতুন নতুন জায়গায় ঘুরতে গেলে নতুন নতুন খাবারের সন্ধান তারা করে বেড়ায়।

এতো গেলো স্ট্রিট ফুডের কথা। শুধু যে রাস্তার পাশের খাবারই পাওয়া যায় তা কিন্তু নয়। কক্সবাজারে রয়েছে বিভিন্ন মানের বিভিন্ন ধরনের খাবারের হোটেল, রেস্টুরেন্ট। হান্ডি রেস্টুরেন্ট, কয়লা রেস্টুরেন্ট, মারমেইড ক্যাফে, নিউ পৌষী ইত্যাদি জায়গা গুলোতে একেকদিন একেক জায়গায় ঘুরে খেতে পারেন। তবে যাইহোক, সি ফুড না খেলে কক্সবাজার ভ্রমণটাই বৃথা। ভ্রমণ হোক সবার প্রিয় সঙ্গী!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ