হাসান ও গফফাররের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

২২ অক্টোবর দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকায় প্রকাশিত "পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ টেকনাফের প্রভাবশালী দখলবাজের অত্যাচারে অতিষ্ট ৪৮ পরিবার" শিরোনামের সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা হাসানুর রহমান, যুগ্ন আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখা, টেকনাফ ও আব্দুল গফফার, সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাহারছড়া ইউনিয়ন শাখা, টেকনাফ। এলাকার একটি কু-চক্রী মহল আমাদের মান-সম্মান হানী করার লক্ষ্যে এধরণের ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে আমাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এই মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আসল ঘটনা হল, আমাদের জমিতে বাউন্ডারি ওয়ালের কাজ নির্মানাধীন রয়েছে। সেখান অতীতে কিংবা বর্তমানে কোন চলাচলের রাস্তা ছিল না। ঐ কু-চক্রী মহল আমির হোসেনের নেতৃত্বে আমাদের নামে জঘন্য অপবাদ দিয়ে বারবার মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আমাদেরকে বেকায়দায় ফেলার পায়তারা চালাচ্ছে। দিবালোকের মত স্পষ্ট এলাকার সবাই অবগত থাকার পরেও তার লালিত কাউকে খুশি করার জন্য এমন জঘন্য অপবাদ আমাদের বিরুদ্ধে ছড়াচ্ছে। যাহা মোটেও বোধগম্য নয়। আমরা এলাকার সচেতন বাসিন্দা একই সাথে মাদক নির্মুল ও মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্য হই। সবসময় এসব অপরাধের বিরুদ্ধে সুচ্চার। আমির হোসেন এর বাড়ী হচ্ছে চৌকিদার পাড়া আর আমাদের বাউন্ডারী নির্মাণাধিন জমি হচ্ছে হাজাম পাড়া, যাহার দুরত্ব প্রায় ৫ কিমি.। অথচ ঐ মিথ্যা সংবাদে তার পরিবারের চলাচল রাস্তা বন্ধ করে আমরা বাউন্ডারী নির্মাণ করতেছি বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট একটি কাহিনী। প্রকাশিত সংবাদে অপর ব্যক্তি মমতাজুল ইসলামের বাড়ি জাহাজপুরায় যাহা আমার বাউন্ডারী নির্মাণধীন জমি থেকে প্রায় ১ কিমি. দূরে, বনবিভাগের জমিতে তার বসত ঘর। অপর অভিযোগ কারী রাজিব মালেক চৌধুরীর জমি মেরিনড্রাইভ সংলগ্ন, যাহার চলাচলের রাস্তা মেরিনড্রাইভ। উক্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রায় অভিযোগ কারীর বাড়ী ঘর আমাদের উক্ত জমি থেকে অনেক দূরে অবস্থিত। তাই তাদের চলাচলের বিষয়ে আমাদের জমির সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এর পরেও কেন তারা আমাদের পিছু লেগে সাংবাদিক ভাইদেরকে মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছেন তাহা মোটেও বোধগম্য নয়। আমরা এহেন মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং উক্ত সংবাদে প্রশাসন সহ সকলকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি।

উল্লেখ্য যে, যাদেরকে বারবার বিভিন্ন সংবাদে ভুমিদস্যু ও রাস্তা দখললারী বলা হচ্ছে, আসলে তারা কারা? হাসানুর রহমান এর পরিবার একাকার একটি ঐতিহ্যবাহী সম্ভ্রান্ত পরিবার। তার বাবা হাজমপাড়ায় এলজিইডি রোড থেকে মেরিনড্রাইভ রোড পর্যন্ত প্রায় ২ কানি জমি দান করে একটি চলাচলের রাস্তা করে দিয়েছেন। বর্তমানে ঐ রাস্তা দিয়ে যানবাহন সহ এলাকার সকল জনগন চলাচল করে। একই সাথে উক্ত রাস্তা সংলগ্ন ১ কানি জমি দান করে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। যাহা বর্তমানে হাজামপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিত এবং হাসানুর রহমান দুই মেয়াদী উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে আব্দুল গফফার উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবং হাজামপাড়া ষ্টেশন জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটিরও সভাপতি তিনি।
 
প্রতিবাদকারী
হাসানুর রহমান ও
আব্দুল গফফার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ