ঘুমন্ত শিশুটিকে কোলে করে বাইরে নিয়ে হত্যা করেন বাবা

‘ঘুমন্ত শিশুটিকে বাবাই কোলে করে বাইরে নিয়ে যায়। বাবার কোল নিরাপদ, তাই তখনও শিশুটির ঘুম ভাঙ্গেনি। এরপরই শিশুটিকে জবাই করে হত্যা করা হয়।’
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কেজাউরা গ্রামে শিশু তুহিনকে হত্যার বর্ণনা এভাবেই দেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা আব্দুল মোছাব্বির এবং জমসেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
‘বাবা হিসেবে আমারও খুব খারাপ লেগেছে’ হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবেগঘন এমন মন্তব্য করেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘শিশুটিকে যখন হত্যা করা হয় তখনও ঘুমেই ছিল। ঘুমন্ত শিশুকে তার বাবা কোলে করে ঘর থেকে বের করে। কিছু বুঝে উঠার আগেই শিশুটিকে জবাই করে হত্যা করে তার বাবা ও চাচারা।’
‘জবাই করার পর তার কান কাটা হয়, লিঙ্গ কাটা হয়, পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয়া হয়। ছুরি দুটিতে প্রতিপক্ষের লোকদের নাম লেখা ছিল।’
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, শিশুটির বাবা শুধু এটিই নয়, আরো হত্যা মামলার আসামি।
/পরিবর্তন!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ