বাগাতিপাড়া ছাত্রলীগ সম্মেলন: শেষ সময়ে স্থগিত ঘোষনা জেলার: সম্মেলন করবে প্রস্তুতি কমিটি


নিজস্ব প্রতিবেদক নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের ১৪ সেপ্টেম্বরের সম্মেলন শেষ মুহুর্তে স্থগিত ঘোষনা করায় ক্ষোভ বিরাজ করছে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেও জেলা ছাত্রলীগ একদিন আগে সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে।
তবে জেলা ছাত্রলীগ সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করলেও সম্মেলন সফল ভাবে সম্পন্ন করার ঘোষনা দিয়েছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

সূত্র জানায়, নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জানানো হয়, অনিবার্যকারণবসত আগামীকালের বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন জরুরী সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। পরবর্তীতে সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করা হবে বলে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কিন্তু এরআগে ২সেপ্টেম্বর জেলা ছাত্রলীগ বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগকে গতিশীল ও বেগমান করতে ১৪সেপ্টেম্বর সম্মেলনের দিন-তারিখ ঠিক করেন। এজন্য মকুল সরকারকে আহবায়ক করে ৯সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির গঠণ করে দেয় জেলা ছাত্রলীগ। এই প্রস্তুতি কমিটিও তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। কিন্তু সম্মেলনের একদিন আগে হঠাৎ করে স্থগিত ঘোষনা করায় ক্ষোভ বিরাজ স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা বলেন, বাগাতিপাড়া ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে এরআগে অনেকবার নাটক মঞ্চস্থ করেছে জেলা ছাত্রলীগ। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দলটির সম্মেলন এবং কমিটি গঠণ করা হয়নি। তাদের বাণিজ্য না হলে তখন তারা নানা অযুহাতে সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করে। যেটা ছাত্রলীগের জন্য চরম ক্ষতিকর।
সূত্র বলছে, ২০১৮সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরী সভায় সংগঠণকে শক্তিশালী এবং বেগবান করতে ওই বছরের ১মার্চ সম্মেলন করার ঘোষনা দেয় জেলা ছাত্রলীগ। এরপর ২০১৮সালের ১৭মার্চ বাগাতিপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগে তৌফিকুর রহমান শ্রাবন এবং আলিফ মাহমুদ এর কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে জেলা ছাত্রলীগ।
এরপর ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর আসাদুজ্জামানকে সভাপতি এবং সাজ্জাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি ভূয়া কমিটি করে জেলা ছাত্রলীগ। এর কয়কদিন পর ২৯অক্টোবর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের স্বাক্ষর জাল করে কমিটি গঠণ করা হয়েছে মর্মে একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর থেকে বাগাতিপাড়া ছাত্রলীগের আর কোন সম্মেলন হয়নি।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম আহবাক এবিএম রবিউল হাসান জনি বলেন, জেলা ছাত্রলীগ আমাদের সাথে কোন কথা না বলেই সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করেছে। আমরা সম্মেলনের জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ করেছি, শেষ মুহুর্তে তারা স্থগিত ঘোষনা করেছে, যেটা আমরা মানিনা। জেলা ছাত্রলীগ আসুক বা না আসুক আমরা সম্মেলন সফল ভাবে শেষ করবো।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম মাসুম বলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাথে ছাত্রলীগের সমন্বয় না থাকার কারনে বাগাতিপাড়া ছাত্রলীগের সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে।
শেষ মুহুর্তে সম্মেলন স্থগিত করা ঠিক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে রিয়াজুল ইসলাম মাসুম বলেন, কেন্দ্র এবং স্থানীয় থেকে চাপ রয়েছে, যার কারণে সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা পরবর্তীতে সম্মেলনের দিন-তারিখ তাদেরকে জানিয়ে দিব। আর তারা যদি জোর করে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করে সেটা বৈধ কমিটি হবে না।
স্থানীয় সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন,আগামীকাল উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন (১৪ সেপ্টেম্বর)। আর শেষ মুহুর্তে সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা এটা গ্রহন যোগ্য নয়। আমাকে বাগাতিপাড়া ছাত্রলীগ দাওয়াত দিয়েছে,আমি সম্মেলনে উপস্থিত থাকবো।

নাটোর
১৩-০৯-১৯
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ