সজিব কান্ডে ত্যক্ত বিরক্ত সদর সাব-রেজিষ্ট্রারের এজলাস ত্যাগ

আব্দুল আলীম নোবেল:

কক্সবাজার সদর সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। এই অফিসের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিরুদ্ধে রয়েছে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও প্রতারণার বিস্তর অভিযোগ।

 অনুসন্ধানে জানাগেছে, জনগুরুত্বের এই অফিসে দুর্নীতিবাজ কয়েকজন সাব- রেজিষ্ট্রারের নাম ভাঙ্গিয়ে কিংবা দ্রুত দলিল করে দেয়ার নামে মোটা অংকের নজরানা আদায় করছে প্রতি কর্মদিবসে। তাদের একজন প্রধান সহকারী সজিব দাশ। অভিযোগ রয়েছে এই সজিব জেলার যেসব উপজেলা সাব- রেজিষ্ট্রি অফিসে ছিলেন সেই অফিসকে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছেন। নিবন্ধন আইনকে তিনি নিজ স্বার্থোদ্ধারে ব্যবহার করেন। অসাধু দলিল লেখক ও দাতা গ্রহীতার কাছ থেকে উৎকোচ পেলে শুভংকরের ফাঁকি ও নানা কৌশলে হালনাগাদ কাগজপত্র বিহীন দলিল রেজিষ্ট্রি করিয়ে নেন তিনি।

সূত্রে জানাগেছে, গতকাল ৮মে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে এমনি একটি দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য সাব-রেজিষ্ট্রারের কাছে উপস্থাপিত হলে তিনি ওই দলিলের তথ্য হালনাগাদ না থাকায় প্রধান সহকারী সজিব দাশের সাথে মিনিট দ’ুয়েক তর্কে লিপ্ত হন সাব-রেজিষ্ট্রার এ কে এম মীর হাসান। একসময় তিনি সজিব দাশের কর্মকান্ডে ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে এজলাস কক্ষ ছেড়ে খাস কামরায় চলে গেলেও মিনিট দশেক পর ফিরে এসে সেবা প্রার্থীদের অন্য দলিল গুলোতে স্বাক্ষর করেন।

জানাগেছে, পিএমখালী মৌজার অসংগতিপূর্ণ সেই দলিলটি শেষ মূর্হতে তিনি রেজিষ্ট্রি দেননি এবং একান্ডের জন্য তিনি সহকারী সজিব দাশকে কয়েকবার শাসান। এমনকি সেই দলিলটি এর  আগের দিনও উপস্থাপন করা হলে অসংগতি দেখে হালনাগাদ কাগজপত্রের নির্দেশ দিয়ে সেই যাত্রায় স্বাক্ষর না করে ফিরিয়ে  দেন তিনি। অভিযোগে প্রকাশ রেজিষ্ট্রি অফিসের আমলা খানা, মহাফেজ খানা ও প্রশাসনিক শাখায় দুর্নীতির ভূত জেঁকে বসেছে। দলিল লেখক সমিতির কতিপয় নেতা, নকল নবিশ ও কয়েকজন সহকারীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও নিবন্ধন দপ্তরের উর্ধ্বতনরা ঠুঁটোজগন্নাথের ভূমিকায় থাকায় সেবা প্রার্থীরা প্রতিনিয়তই হয়রানি-প্রতারণার ফাঁদে পড়ছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ