নীলফামারীর কালীগঞ্জ মেলায় আগুন সাধারণ জনগণ অতঙ্কে প্রশাসন নিরব


এন.এম হামিদী স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারীঃ

নীলফামারীতে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনকৃত জলঢাকার কালীগঞ্জের মেলাটি ভেঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দিল বিখুদ্ধ সাধারণ জনগণ। লটারী নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করল মেলার পরিচালনা কমিটি প্রশাসন নিরব।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে মেলায় উল্লাস লটারি টিকিট বিক্রয় করে মেলা পরিচালনা কমিটি। লটারীতে প্রথম পুরুষ্কার মোটরসাইকেলসহ অর্কষনীয় পুরস্কারের কথা ঘোষনা করলে জলঢাকাসহ প্বার্শবর্তী উপজেলা ডোমার, ডিমলা, নীলফামারীর বিভিন্ন এলাকার  হাজার হাজার জনগণ  লটারী টিকিট সংগ্রহ করে। কিন্তু লটারী ড্র দেওয়ার সময় হলে পরিচালনা কমিটির সদস্যরা পরিকল্পিত ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে মেলায় উপস্থিত  টিকিট সংগ্রহকারী সাধারণ জনগন বিখুদ্ধ হয়ে  আগুনা লাগিয়ে দেয়। এ সময় মেলা পরিচালনা কমিটির লোকজন  সাধারণ জনগণের ওপড় আক্রমণ শুরু করেলে  আত্মরক্ষার জন্য জনগণ পালিয়া যায়।

এলাকাবাসী বলেন, মেলাটিতে সার্কাসের নামে অশ্লীল নৃত্য, জুয়া ও লটারী চালাচ্ছে। ফলে এলাকার যুব সমাজ থেকে শুধু করে সকল শ্রেনীর লোক ধংসের মুখে চলে যাচ্ছে এবং চোরা চালান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বিষয়ে বারবার প্রশাসনকে বললেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি। যদি প্রশাসন আগে মেলা বন্ধের পদক্ষেপ নিত তাহলে এ রকম ঘটনা ঘটত না। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ জনগণের মধ্যে অতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরদিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা, জেলায় আরও দুটি  মেলা অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলার সুধিসমাজ ও সচেতনমহল উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সামনে এস এস সি পরিক্ষা আর এই কোমলমতি শিশুরা সার্কাস নামে অশ্লীল নৃত্যের দিকে ঝুগছে। যাতে করে মেলা দুটি চালু না হয়  প্রশাসনের নিকট দাবী তাদের।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন বলেন, সার্কাসটি অনুমোদন দেয়া হয়েছিল সার্কাসের নামে লটারি চলাকালীন সময় প্রশাসন খবর পেয়ে মেলাটি বন্ধ করে দেয়। জেলায় আরও দুটি মেলা অনুমোদন দেয়া হয়েছে সেখানে এ রকম ঘটনা ঘটলে সেটিও বন্ধ করে দেয়া হবে। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ