চকরিয়া উপজেলা ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কাল্পনিক রিপোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বহুল প্রচারিত দৈনিক আমার সংবাদ ও দৈনিক যায়যায়দিন অনলাইন সংস্করণ ও প্রিন্ট মিডিয়ার কাগজে চকরিয়ায় দফাদারের স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা ও ধর্ষণ চেষ্টা শিরোনাম  একটি মিথ্যা  সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়। যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট। চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ কর্তৃক সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি কাল্পনিক রিপোর্ট সরবরাহ করছে। যা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, সত্যের লেস মাত্র নাই। প্রকতপক্ষে ঘটনা হচ্ছে-

আমার পেশাগত দায়িত্বপালনকালে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সহকারী শান্তি পদ-দের বেশকিছু দুর্নীতির তথ্য পাই এবং প্রমাণস্বরূপ বেশকিছু তথ্য চিত্র আমার কাছে আসে যা আমি মোবাইলে সংরক্ষণে রাখি।

এই বিষয়ে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের জের ধরে গত ২৮ ডিসেম্বর আনুমানিক সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আমার ফোনে কল আসে +৮৮০১৬১০১৮১১২৪ চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসান নামে পরিচয় প্রদান করে জনৈক ব্যক্তি আমাকে তৎক্ষণাৎ ইউএনও'র সাথে দেখা করার জন্য যেতে বলেন। আমি যাওয়ার সময় ইউএনও অফিসে কোনো অঘটন ঘটতে পারে এমন ধারনা করে আমার ব্যবহৃত স্মার্টফোনটি কৌশলে বাসায় রেখে যায়। বিধি বাম, যা ধারণা করা হয়েছিল তাই ঘটেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার (আনুমানিক) দিকে তাকে ইউএনও'র অফিসে গিয়ে উপ¯ি’ত হতে না হতেই ইউএনও আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার মোবাইল ফোনটি কোথায়? উত্তরে আমি বলি, আমার ফোন বাসায় রেখে গেছি। এরপর ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে আমার হাতপা বেঁধে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, দেহরক্ষী মাহমুদুল হাসান, শান্তি পদ-দে, সৌরভ, কাজল, ইফাতসহ বেশ কয়েকজন ইউএনওর ঘনিষ্ঠ বহিরাগত লোকজন নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় লোহার পাইপ দিয়ে অবর্ণনীয় শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। এ সময় ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আমার স্মার্টফোনটি কেনো বাসায় রেখে এসেছে সেই বিষয় উল্লেখ করে স্মার্টফোনটি কাউকে দিয়ে নিয়ে আসার জন্য বলে।

তখন আমি নিজে গিয়ে ফোনটি আনতে চাইলে ইউএনও আমাকে যেতে দেয়নি। পরিবারের অন্য কোনো সদস্যদের মাধ্যমে ফোনটি নিয়ে আসতে বলে। তখন বাধ্য হয়ে বাসায় ফোন করে আমার স্ত্রী ও মাকে ফোনটি নিয়ে আসতে বলি। ইউএনও অফিস থেকে আমার বাসার দূরত্ব প্রায় ৪ কিলোমিটার। আমার পরিবারের সদস্যদের ফোনটি নিয়ে আসতে দেড়ি হওয়ায় ইউএনও আমাকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এরপর তার দেহরক্ষী কালো লম্বা একটি লোহার পাইপ এনে আমাকে বেধড়কভাবে মারতে শুরু করেন। এরমধ্যে আমার স্ত্রী এবং মা এসে এই চিত্র দেখে ইউএনওর কাছে আমাকে না মারার অনুরোধ করলেও দ্বিগুণ গতিতে আমার উপর উপর্যপুরি আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার মার কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে ইউএনও আমার ফেসবুক স্ট্যাটাসসহ ফোনের যাবতীয় তথ্যাদি ডিলেট করেন এবং ফোনটি নিয়ে নেন।

একইসাথে একটি অঙ্গীকারনামা প্রস্তুত করে তাতে আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলেন, আমি স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইউএনও আমাকে ইয়াবাসহ নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এর মিথ্যা মামলা দিয়ে কোর্টে চালান দিবেন বলে হুমকি দেন। তাতেও রাজি না হওয়ায় আমাকে ইলেকট্রিক শর্ট দিয়ে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেন।

আনুমানিক রাত ১০.৩০ ঘটিকার সময় আমাকে ছেড়ে দেন। তৎক্ষণাৎ বিষয়টি আমি আমার পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদককে বিষয়টি অবহিত করি এবং প্রাণনাশের শংকা থাকায় ইউএনও অফিস থেকে বের হয়ে সরাসরি ঢাকায় চলে আসি। পরেরদিন ২৯-১২-২০২১ ইং তারিখ সকাল ৮.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা কারণে ঢাকায় অবস্থান করছি। আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এখনও সেই আঘাতের চিহ্ন বিদ্যমান রয়েছে। (দৈনিক প্রথম প্রহর পাঠকদের জন্য প্রতিবাদটি হুবহু তুলে ধরা হলো)

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ