কিশোরগঞ্জে সোনালী ব্যাংকের গাফিলাতির কারণে প্রতিবন্ধীর টাকা উধাও


খাদেমুল মোরসালিন শাকীর, বিশেষ প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাহাগিলী ইউনিয়নের প্রতিবন্ধীর টাকা সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলাতির কারণে এক বছর থেকে টাকা পাচ্ছে না প্রতিবন্ধী আব্দুল হাই। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২০২০ সালে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করে বাহাগিলী ইউনিয়নের দক্ষিণ দুরাকুটি ঘোপাপাড়া এলাকার সদর আলীর ছেলে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী আব্দুল হাই। সকল যাচাই বাছাই শেষে প্রতিবন্ধী আব্দুল হাইয়ের ভাতা চুড়ান্ত করে প্রতিবন্ধী ভাতার বই ইউনিয়ন পরিষদে পাঠিয়ে দেয় সমাজসেবা দপ্তর কিশোরগঞ্জ। 

ইউনিয়ন পরিষদে সেই বই পাঠিয়ে দেয়া হলেও এক বছর পর সেই প্রতিবন্ধীর বই পায় অসচ্ছল প্রতিবন্ধী আব্দুল হাই। বই পাওয়ার পর দেখা যায় তার বই দিয়ে গত ২০২০ সালের মে মাস হইতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ হাজার ৭ শত ৫০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সেই টাকা কে উত্তোলণ করেছে তা জানে না ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টরা। আবার নিয়ম অনুযায়ী ছবি শনাক্ত করে সুবিধাভোগীদের মধ্যে টাকা দেয়ার কথা থাকলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ একটি অসাধু চক্রের সাথে যোগসাজস করে টাকা উত্তোলন করে নেয়। 

ব্যাংক থেকে টাকা পরিশোধকারী কোন কর্মকর্তার স্বাক্ষর নেই সেই বইয়ে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আশার প্রতিফলন ঘটলেও সেই আশা এখন হতাশায় রূপ নিয়েছে। তার প্রাপ্য টাকা কে তুলে আত্মসাৎ করে নিয়েছে তার কোন সুরাহা দিতে পারছে না উপজেলা প্রশাসনও। খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও তিনিও রেগে গিয়ে বলেন,আমার কি করার আছে এখানে। আমি কি আপনার টাকা উত্তোলন করে দিব। কেন এসেছেন আমার কাছে। রেগে গিয়ে বলেন,সমাজসেবা অফিসে যান। প্রতিবন্ধীর টাকা কে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে তা নিয়ে চেয়ারম্যান,মেম্বার ও অফিসারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রতিবন্ধী আব্দুল হাই।

এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রোকনুজ্জামান টাকা উত্তোলণের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,সুবিধাভোগীকে টাকা দেয়া হয়েছে। আপনার কোন কর্মকর্তা সুবিধাভোগীকে টাকা দিয়েছে তার স্বাক্ষর বইয়ে নেই কেন? জানতে চাওয়া হলে ব্যবস্থাপক বলেন.অনেক বইয়ের মাঝে দুই একটা মিসিং হতে পারে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার বলেন,আমি সদ্য যোগদান করেছি,রবিবার সুবিধাভোগী আমার কাছে আসলে বিষয়টি আমি দেখবো।

এ ব্যাপারে বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কোন ব্যক্তি টাকা উত্তোলন করতে পারে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে শক্ত করে ধরলে টাকা বের হয়ে আসবে। কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীরুল ইসলামের কাছে ব্যাংক থেকে সুবিধাভোগী ছাড়া কিভাবে টাকা উত্তোলণ হলো বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি সংবাদকর্মীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন,আমার কাছে কেন এসেছেন? আমি কি সমাজসেবা অফিস নিয়ে বসে আছি। এটা কি আমার কাজ। আপনি সাংবাদিক আপনি নিউজ করেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ