নিজস্ব প্রতিবেদক
দীর্ঘদিনের দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে অবশেষে জায়গার সীমানা প্রাচীর
ভেঙ্গে দিয়েছে চাঁদাবাজ বোরহান উদ্দিন। গত (২৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার সময়
তার পালিত সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে সীমানা দেওয়াল ভেঙে দেয়। মহেশখালী উপজেলা পরিষদের
পিছনে লাগোয়া দ্বীপাঞ্চল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ এর জাযগায় এঘটনা ঘটে। সুত্রে
প্রকাশ মহেশখালী উপজেলার সমবায়ের নিয়ন্ত্রণে রেঃজিঃ ১৬৬১/২০১১, দ্বীপাঞ্চল ব্যবসায়ী
সমবায় সমিতি লিঃ বিগত ৫/৯/২০১১ সালে ১৭৫২ নং দলিল মুলে সাড়ে ৭ শতক জমি ক্রয করে
দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপুর্ন ভোগদখলে আছে এবং সকলের জানা মতে জায়গার উত্তর ও পশ্চিম
দিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে ভোগদখলে আছে। মহেশখালী পৌরসভার রাস্তাঘাট উন্নয়নের
স্বার্থে সমিতি রাস্তার জন্য পৌরসভাকে জায়গা ছেড়ে দেয়। ফলে রাস্তার উন্নয়নের কাজ
শেষ হলে দ্বীপাঞ্চল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিঃ কর্তৃপক্ষ নিজ জায়গার উপর ঘর
নির্মানের কাজ শুরু করেন। কাজের শুরু থেকে কুতুব জোমের খন্দকার পাড়ার মৌঃ নুরুল
কবিরের পুত্র সাজ্জাদ বোরহান উদ্দিন মোটা অংকের টাকা চাবি করে আসছে। সমিতির সদস্য
কাউছার আলম বাদি হয়ে অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট কক্সবাজার এর আদালতে এম আর ১৬৪৮/
২০২১ মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। দীর্ঘদিন ধরে তাদের দাবি কুত ১
লক্ষ টাকা চাঁদা না পেযে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে তার ভাই সাজ্জাদ
হেলাল উদ্দিন তার ভগ্নী পতি জোনায়েদের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে একটি সরকারি রেঃজিঃ
সমিতির জায়গার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়েছে। পরদিন সমিতির সদস্য আব্দুল মাবুদ বাদি
হয়ে মহেশখালী থানায় চিন্হত চাঁদাবাজদের বিরোদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বর্তমানে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বোরহানের হুমকীতে সমিতির সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায
ভোগছে বলে জানা গেছে। এর আগে মৌঃ নুরুল কবিরের পুত্র সাজ্জাদ বোরহান উদ্দিনের নামে
বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলেও তার অপকর্ম থেমে নাই। শেষমেশ তার লালিত পালিত
সন্ত্রাসীরা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভেঙ্গে দিল আশপাশের প্রাচীর।কয়েকদিন আগে
সাজ্জাদ উদ্দিন বোরহানের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন অত্র সমিতির
কর্তৃপক্ষ।তবে জায়গাটিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।তবু আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য
করে ঘটনা গঠনাটি করেন। এই বিষয় নিয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, ওই জায়গাটি নিয়ে দুইপক্ষের বিবাদের বিষয়টি তার নজরে আছে।
তবে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে দেওয়ালটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে তিনি জানেন না।
ক্ষুব্ধ পক্ষ অভিযোগ জানালে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
0 মন্তব্যসমূহ