টেকনাফে জা‌লিয়া‌তির মাধ্যমে জমি রেজিস্ট্রির ৩ প্রতারক

আব্দুল আলীম নোবেলঃ টেকনাফে আসল নাম পরিচয় গোপন করে জ‌মি জা‌লিয়া‌তি করে দ‌লিল রেজিস্ট্রির করা হয়েছে৷ এতে জমির প্রকৃত মালিক গং চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) টেকনাফ বাহারছড়া বড় ডেইল মৌজার আওতাধীন নোয়াখালী পাড়ায় সরেজমিনে গেলে এ বেরিয়ে আসে তলের বিড়াল৷

বিগত ২০০৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে তৎক্ষালিণ নজরুল ইসলাম তালুকদার ২২১২ ও ২২১৯ নং জমির দলিল ও অপর সাফ বিক্রি কবলা দলিল নং ১০৭৯৭ সম্পাদন করেন৷ একটি প্রভাবশালী চিন্ডিকেট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই দলিলটিতে চরম জাল- জালিয়াতি করে রেজিস্ট্রি করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার৷

জমির প্রকৃত মালিক স্থানীয় আলি হোসেন গং এর ওয়ারীশ চান মিয়া ও উছমান গণী সুবিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে জানান তারা৷

ওই দলিলের একাংশে ৫৩ শতক জমি জালিয়াতি করে রজিস্ট্রি করে নিয়েছে বলে জানান জমির মালিকগণ৷

জমি জালিয়াতির ঘটনায় আসল নাম গোপন করে জমি রেজিস্ট্রি করে স্থানীয় তিন ব্যক্তি৷ তারা হলেন, (১) জহির আহমদ (৪০), পিতা আব্দুল গফুর, সাং নোয়াখালী পাড়া, তবে জমি রেজিস্ট্রির সময় নাম দিয়েছে আব্দুল হক, পিতা জিন্নাত আলি৷ (২) মোঃ হোছন (৩৫) পিতা, মৃত কালা মিয়া সাং হাতিয়ার ঘোনা, টেকনাফ, তবে রেজিস্ট্রিতে নাম দিয়েছে শব্বির আহমদ, পিতা মৃত আলি হোসেন৷
(৩) নোয়াখালী পাড়ার বাসিন্দা মৃত সোনা আলীর পুত্র আব্দুল মোনাফ (৪৫), তবে দলিলে ভূয়া নাম দিয়েছে আব্দু শুক্বুর, পিতা মৃত হোসেন আলি৷

তৎকালিন দলিল লেখক হাকিম আলি, সাব রেজিস্ট্রার নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ দালালগণ জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জাল জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মোটা অংকের বিনিময়ে জমি রেজিস্ট্রি করেছে৷

ওই জমির গ্রহীতা হচ্ছে, কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা, মোঃ আবুল বশর, মহিম উল্লাহ চৌধুরী টিটু, মোঃ ইমরান বাচ্চু, ইসমত আরা বেগম, মোঃ ফরিদ উদ্দীন ভুঁইয়া, আলহাজ্ব নিজাম উদ্দীন, মোঃ নেয়ামুল হক নেকু৷

ইতিমধ্যে জমিটি তৃতীয় এক ব্যক্তি ঢাকার বাসিন্দা এস এম আসাদুল হক কে বিক্রি করার খবর পাওয়া গেছে৷ এদিকে খতিয়ান বাতিলের জন্য স্থানীয় তহসিলদার অফিসে আবেদন করেছেন জমির প্রকৃত মালিক গং৷

এবিষয়ে টেকনাফ বাহারছড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার আব্দু জব্বার জানান, আবেদনকারীর পক্ষের সঠিক কাগজ পত্র থাকলে তদন্ত পূর্বক দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷

ভুক্তভোগী পরিবার ডিপুটি কালেক্টর (জেলা প্রশাসক) জেলা রেজিস্ট্রার, দুদক সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে সুবিচারের আবেদন জানিয়েছেন৷

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ