নীলফামারী জলঢাকায় সাংবাদিক আব্দুল মালেককে প্রাণনাশের হুমকি,থানায় জিডি


সাইফুল ইসলাম মানিক নিলফামারীঃ

নীলফামারীর জলঢাকায় সাংবাদিক আব্দুল মালেককে (৪৬) প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিনি গতকাল শুক্রবার জলঢাকা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। আব্দুল মালেক উপজেলার রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি দৈনিক গনমুক্তি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও তিনি স্থানীয় সাপ্তাহিক পত্রিকা ন্যায়ের ভাষা পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। 

সাংবাদিক আব্দুল মালেকের দায়েরকরা সাধারণ ডায়েরি উল্লেখ করেন, প্রতিদিনের মতো গত ২৫ মে মঙ্গলবার রাতে খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ০১৭৯৬-৯৫১২৭৫ নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করা হয়। এ সময় তাঁকে গালাগাল করে প্রাণনাশের হুমকি দেয় দুর্বৃত্তরা। বাড়ির লোকজন জেগে ওঠার সাথে সাথেই প্রায় ১০/১২ অজ্ঞাতনামা লোক ৩/৪টি মোটরসাইকেল মোহরা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে সাংবাদিক আব্দুল মালেক নিজের ফোনে দেখতে পায় ১৫-২০টি মিস কল। ওই ফোন নাম্বারে কল করে জানতে পারেন ওই নম্বরের মালিক মীরগঞ্জ ইউনিয়নের বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজি মাহবুবর রহমান। 

সাংবাদিককের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি এবং হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জলঢাকার কর্তব্যরত সাংবাদিকরা। হুমকিদাতা কাজী মাহবুব কে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। কাদের ইন্ধনে ওই সন্ত্রাসী কাজী গভীর রাতে সাংবাদিকের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি এবং মোবাইলে ৫০ চাঁদা দাবি করে। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে, মুঠো ফোনে কাজী মাহবুব জানান, আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম, জিডির বিষয় কিছু জানি না।  

এব্যাপারে সাংবাদিক আব্দুল মালেক জানান, মুজিব শত বর্ষের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দুর্যোগ সহনীয় ঘরের নির্মাণ কাজের অনিয়মসহ একাধারে বিভিন্ন অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ করি। যাঁর ফলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার বাড়িতে সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমি অন্যান্য সংবাদকর্মীদের পরামর্শে ওই নাম্বারে ফোন দিয়ে কথা বলে চিন্তে পারি উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার কাজী মাহবুব। তাঁর কল রেকর্ড ভুক্ত করি, তাঁকে উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১০/১২জন লোকের বিরুদ্ধে গত শুক্রবার রাতে জলঢাকা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এছাড়াও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে নানান সময় নানান ভাবে হয়রানির শিকার হয়। তাই ন্যায় বিচারের দাবি জানান তিনি।

জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আব্দুল মালেক নিরাপত্তা চেয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ